নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কোনটি আগে, কোনটি পরে সেটি নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে আর কোন নির্বাচন পরে হবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তুলেছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
এনসিপির দাবির বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এর এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। নির্বাচন কোনটি আগে হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ চলছে। বিষয়টি নজরে আনলে কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।’
এনসিপি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যে মন্তব্য করতে চাই না। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে এবং করে যাবে।’
স্থানীয় সরকারগুলোতে প্রশাসকের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করার বিষয়ে কোনো আইন নেই। এরপরও আমাদের দেশে সাধারণত যদি কেউ দরখাস্ত করে থাকেন, তাহলে সেখানে নির্বাচন কমিশনকেও একটি পক্ষ বানান। আইনে যেহেতু নাই সেহেতু আমরা স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ফাইল ঘেঁটে দেখার চেষ্টা করেছি কখনো নির্বাচন কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে পক্ষভুক্ত হয়েছে কিনা বা আবেদন করেছে কিনা। আমরা এমন কোনো নজির পাইনি। সুতরাং আইন আমাদের পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয় না।’