জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার রায়ের কপি পাওয়ার কথা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম এবং এই মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
নিয়ম অনুযায়ী রায়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ পাবেন দণ্ডিত ব্যক্তিরা। তবে পলাতক থাকলে সেই সুযোগ পাবেন না।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রায়ের কপি পেয়েছি। রায় পর্যালোচনা করছি।’ প্রসিকিউর তামিম বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পরে প্রকাশিত হলেও আপিলের সময়সীমা রায় ঘোষণার দিন থেকেই গণনা হবে। তবে চৌধুরী মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ বলেন, রায়ের কপি পাওয়ার পর থেকে আপিলের জন্য ৩০ দিনের সময় গণনা শুরু হবে।
এই মামলার রায়ে ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে পাঁচ অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড ও দুটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাঁদের সব সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করে জুলাই-আগস্টের শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে বলা হয়। মামলার অপর আসামি ও রাজসাক্ষী চৌধুরী মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেদিন ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের উল্লেখযোগ্য অংশ ট্রাইব্যুনালে পড়ে শোনানো হয়।
মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর আগে আদালত অবমাননার একটি ২ জুলাই শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন একই ট্রাইব্যুনাল।