দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে কক্সবাজার জেলায়। দেশে চলতি বছর ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন বা ৬৪ শতাংশের বেশি মৃত্যু হয়েছে কক্সবাজারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছে ৭৭ জন। তাদের সবই রাজধানী ঢাকায়। আগের দিন মোট রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৪০ জন। সবাই ছিল রাজধানীতে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৮০ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩০৬ জন এবং বাইরে ৭৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর মে মাসের ৩১ দিনে মোট রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছিল ১৬৩ জন। জুনের ৩০ দিনে ৭৩৭ জন এবং জুলাই মাসের ৩১ দিনে ২ হাজার ৬৬৫ জন এবং চলতি মাসের ছয় দিনে ৪৩৭ জন রোগী শনাক্ত ও ভর্তি হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ ৬ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছে ২ হাজার ৭০৩ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬০৪ জন এবং ছাড়পত্র নিয়েছে ২ হাজার ২৯৩ জন। ঢাকার বাইরে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়েছে ৩১০ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তাদের মধ্যে জুলাইতে ৯ জন এবং জুনে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
কীটতত্ত্ববিদদের ধারণা, ডেঙ্গুর প্রকোপ আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠবে। যেখানে চার দিন ধরে দিনে গড়ে ৭৩ জন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।