দেশের সব বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি ও র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১৩ নভেম্বর রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র তাওসিফ রহমান সুমনকে হত্যা করা হয়। এ সময় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারও আহত হন। এ ঘটনায় আটক তরুণ লিমন মিয়া সম্প্রতি পরিবারটির সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পরদিন দেশের সব আদালত ও বিচারকের বাসস্থানে অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োগসহ দুই দফা দাবি জানায় বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। আর আজ হাইকোর্টে রিটটি করেন আইনজীবী মো. মেহেদী হাসান।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, উচ্চ আদালতের বিচারপতিসহ অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত বছরের ২৮ নভেম্বরের জারি করা সার্কুলারের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাওয়া হয় রিট আবেদনে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।