বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বাসার সামনে মব তৈরি করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা প্রকাশ করে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, মব তৈরি করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা কেবল একজন ব্যক্তিকে নয়, বরং তা পুরো সমাজকে আতঙ্কিত ও অবরুদ্ধ করার সমতুল্য। এ ধরনের বেআইনি তৎপরতা সুস্পষ্টভাবে সংবিধানে প্রদত্ত নাগরিকের মতপ্রকাশ, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও মর্যাদার অধিকারের ওপর স্পষ্ট হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশ সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে জীবন ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা (অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২) এবং চিন্তা, বিবেক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ ৩৯) দিয়েছে। মো. ফজলুর রহমানের বাসার সামনে সংঘটিত মবের ঘটনা এসব মৌলিক অধিকারকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ঘটনা শুধু একজন প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান নয়, বরং সমগ্র সমাজের ওপর ভীতি সঞ্চার ও ভিন্নমত দমন করার ন্যক্কারজনক চেষ্টা।
আসক মনে করে, রাষ্ট্র যদি নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা শুধু সংবিধান লঙ্ঘন নয়, বরং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারসমূহ এড়িয়ে যাওয়ার শামিল। বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করা। এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা শুধু সংবিধানের পরিপন্থী নয়, বরং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আঘাত। অবিলম্বে এ ধরনের মব রাজনীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসকের আহ্বান, অবিলম্বে এ ধরনের মব বন্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হোক, না হলে রাষ্ট্রের আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক ভিত্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।