হোম > জাতীয়

তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার ৬ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর অভিযুক্ত ঘটনার মূল হোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়সহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভাইরাল হওয়া ভারতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাংলাদেশি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

পুলিশ জানায়, কিছুদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, প্রায় ২০-২২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে বিবস্ত্র করে ৩-৪ জন যুবক অমানবিক নির্যাতন করছে। সাইবার পেট্রোলিং এর অংশ হিসেবে ভিডিওটি নজরে আসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের।

এই ঘটনায় ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচারের মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তিনি মগবাজার এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করেন। তার মেয়ের ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী ৩ বছর ধরে কুয়েতে থাকেন। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে তিনি (ভুক্তভোগী) বাবা ও শ্বশুরবাড়ি উভয় জায়গায় থাকতেন। ১৫ মাস আগে বাবাকে জানান, তিনি (ভুক্তভোগী) দুবাই যাবেন। বাবা তাকে বারণ করেন। তবে ১ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে তিনি জানতে পারেন, মগবাজারের রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় তাকে (মেয়েকে) ফুসলিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করেন।

এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা ভারতে সংঘটিত হয়েছে। তবে, ভিকটিম বাংলাদেশি। আর যে ৩-৪ জন যুবক ভিকটিমকে নির্যাতন করেছে তার একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয় যিনি স্থানীয়ভাবে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত। নির্যাতনকারী হৃদয় হাতিরঝিলের মগবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। হৃদয়ের মা ও মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে গত চার মাস আগে তারা তাকে বাসা থেকে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, কৌশলে হৃদয়ের মামার হোয়াটস অ্যাপ নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হলে হৃদয় জানায় সে তিন মাস আগে ভারতে চলে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ১৫-১৬ দিন আগের এবং ভুক্তভোগী বাংলাদেশি। ভুক্তভোগীর বাসাও হাতিরঝিল এলাকায়। হৃদয়ের দেওয়া তথ্যমতে, আমরা নির্যাতিতার পরিবারের খোঁজ পাই। তার পরিবার নির্যাতিত মেয়েকে চিনতে পারে।

আরও পড়ুন:

নির্বাচনকে সামনে রেখে সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম আলো–ডেইলি স্টার কার্যালয় পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

মনোনয়নপত্রে সন্তানের আয়ের তথ্য দেওয়া ঐচ্ছিক—বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসির চিঠি

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হাদির খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দুই ভারতীয়কে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ: ডিএমপি

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী ভারতে পালিয়েছেন—জানাল ডিএমপি

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুমোদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল বিএনটিটিপি