শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং–র্যাগিং রোধে করা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ–সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের বেঞ্চ এই রায় দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিংবিরোধী কমিটি এবং র্যাগিং পর্যবেক্ষণে স্কোয়াড গঠনের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০২০ সালে রিটটি করেন। ওই সময় প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিটের পক্ষে ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনুন নাহার সিদ্দিকা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ–সংক্রান্ত নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে গত বছর প্রকাশ করা হয়। এতে মৌখিক, শারীরিক, সামাজিক, সাইবার ও যৌন–সংক্রান্ত বুলিং ও র্যাগিংয়ের সংজ্ঞা রয়েছে। নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধে এক বা একাধিক কমিটি গঠন ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘নীতিমালা অনুসারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে র্যাগিং–বুলিংয়ে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন/বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’