ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার মোদিকে ফোন করেন ড. ইউনূস। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন মোদি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বিষয়টি জানান। মোদি লেখেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মতবিনিময় করেছেন। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে আরও লেখেন, ‘তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) বাংলাদেশের হিন্দু ও সকল সংখ্যালঘুর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বাংলাদেশে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরে হামলায় এক স্কুলশিক্ষক নিহত এবং অন্তত ৪৫ জন আহত হন। ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে হিন্দুরা ৮ শতাংশ। বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অনুমান, হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার দিন ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে অন্তত ৫২টি জেলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছে।
এর আগে, ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির রেড ফোর্ট থেকে দেওয়া এক ভাষণে বাংলাদেশে সরকার পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে অভিযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ।’
নরেন্দ্র মোদি সেদিন আরও বলেছিলেন, ‘ভারত সব সময় বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা করি, শিগগির বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, সেখানে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।’