নেপালি একজন শেরপা ২৬ তম বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। ৪৬ বছর বয়স্ক পাসাং দেওয়া শেরপা রোববার ৮৮৪৯ মিটার (২৯,০৩২ ফুট) উচ্চতার সর্বোচ্চ পর্বত শিখরটিতে পৌঁছে স্পর্শ করলেন কামি রিতা শেরপার রেকর্ড। বিজ্ঞান কৈরালা নামের নেপালের একজন সরকারি পর্যটন কর্মকর্তার সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মজার ঘটনা এর আগে এককভাবে রেকর্ডটি যার ছিল সেই কামা রিতা শেরপাও এই মুহূর্তে এভারেস্টে আরোহণ করছেন। চূড়ায় পৌঁছাতে পারলে আবার রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিতে পারবেন তিনি।
ইমাজিন নেপাল ট্র্যাকস নামের যে হাইকিং কোম্পানিটিতে চাকরি করেন পাসাং দাওয়া তার একজন কর্মকর্তা জানান একজন হাঙ্গেরীয় পর্বতারোহীকে নিয়ে চূড়াটি জয় করেছেন পাসাং দাওয়া।
‘এখন এভারেস্টের চূড়া থেকে নামছেন তাঁরা এবং সুস্থ আছেন।’ রয়টার্সকে বলেন দাওয়া ফুতি শেরপা নামের ওই কর্মকর্তাটি।
শেরপারা সাধারণত তাঁদের নামের প্রথম অংশ ব্যবহার করেন। পর্বতে চড়ার অসাধারণ দক্ষতার জন্য তাঁরা বিখ্যাত। বিভিন্ন পর্বতচূড়া জয়ের অভিযানে বিদেশি পর্বতারোহীদের গাইড হিসেবে কাজ করে জীবনধারণ করেন শেরপারা।
ঠিক কত জন বিদেশি পর্বতারোহী চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করছেন সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উল্লেখ্য কেবল এক দিন আগেই পর্বতটির চূড়ার দড়িগুলো আটকানো হয়েছে। এ ধরনের দড়ি পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন পূরণে বেশ সাহায্য করে।
দুবাইয়ে বসবাস করা ৩৭ বছরের ব্যাংক কর্মকর্তা নায়লা এভারেস্টজয়ের আগে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১৪টি চূড়ার চারটি জয় করেন। জানিয়েছে হিমালয়ান টাইমস নামের একটি সংবাদপত্র।
এভারেস্ট জয় করতে চাওয়া বিদেশি পর্বতারোহীদের জন্য রেকর্ড ৪৬৭টি পারমিট দিয়েছে এ বছর নেপাল। প্রত্যেক পর্বতারোহীর সঙ্গে সাধারণত অন্তত একজন শেরপা গাইড থাকেন।
হিমালয়ান ডেটাবেইস ও নেপালের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায় ১৯৫৩ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি এবং শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথমবার এভারেস্ট জয়ের পর এ পর্যন্ত ১১,০০০ বারের বেশি এভারেস্ট জয় হয়েছে। আর পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া জয়ের চেষ্টা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২০ জন মানুষ।