সাজেক যাওয়ার সঠিক বা সবচেয়ে সুন্দর সময় কখন, এ প্রশ্নের সঠিক কোনো উত্তর খুঁজে পাই না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, যেকোনো সময়ই সাজেক যাওয়ার জন্য উপযুক্ত। কারণ, যেকোনো ঋতুর যেকোনো সময় সাজেক আলাদাভাবে সুন্দর। বৃষ্টির সময় সাজেকের এক রূপ, বসন্তে বা শরতে সেই একেবারেই একদম অন্য রকম রূপ। আবার শীতে সাজেক ভিন্ন রূপে সেজে থাকে। তাই সব ঋতুতে সেটি আলাদা আলাদা রূপে।
যাঁরা মেঘের প্রেমে পড়তে ভালোবাসেন, মেঘ দেখে, মেঘ ছুঁয়ে নিজেকে অদ্ভুত সুখের অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করতে চান, তাঁদের জন্য শরৎই সাজেক ভ্রমণের আদর্শ সময়।
এ সময় মেঘমুক্ত ঝকঝকে নীল আকাশ দেখার সুন্দরতম জায়গা হলো সাজেক। অবশ্য বৃষ্টিপ্রেমীদের অনুভূতিতে বৃষ্টির সময় সাজেক সবচেয়ে আকর্ষণীয়। সে আলাদা বিতর্ক।
যাহোক, খরচের কথা বলে আর বেদনা না বাড়াই। শুধু প্রকৃতির রূপের কথাই না হয় আর একটু বলে শেষ করি। আমার কাছে সূর্য উদয়ের চেয়েও বিকেলের নীল রঙা সাজেক বেশি আকর্ষণীয়। শেষ বিকেলে সূর্যের আলো পশ্চিমে আকাশের গায়ে হেলে পড়লে যে শত রঙের মেলা দেখা যায়, সকালে মেঘের কারণে সেটা দুর্লভ। আর দূরের মিজোরামের পাহাড়শ্রেণি হয়ে ওঠে একটা নীল পাহাড়ের বিশাল ক্যানভাস। অমন বর্ণিল আকাশের নিচে বসে দূরের নীল ক্যানভাসের দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে কাটিয়ে দেওয়া যায় বেহিসাবি সময়!
সাজেকে যেতে
দেশের যেকোনো জায়গা থেকে যেতে হবে খাগড়াছড়ি। সেখান থেকে রিজার্ভ বা শেয়ার জিপে দীঘিনালা হয়ে আর্মি স্কটের সঙ্গে সাজেক। থাকা আর খাওয়ার জন্য এখন সাজেকে অনেক জায়গা আছে। সাধ, সাধ্য আর সুযোগমতো ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। যদি হন ব্যাচেলর বা শুধুই বন্ধুদের সঙ্গে যাওয়ার মতো দল বেঁধে। কিন্তু পরিবার, শিশু বা বয়স্ক কাউকে নিয়ে গেলে অবশ্যই সবকিছু বুকড করে যাওয়ার এবং ফিরে আসার চেষ্টা করুন।