হোম > জীবনধারা > ভ্রমণ

এ বছরের সুখী দেশগুলো ঘুরে আসতে পারেন

ফিচার ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

এ বছরের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে টানা অষ্টমবারের মতো বিশ্বের সুখী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে, তালিকায় এবার ইতিহাসের সবচেয়ে নিচে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটি আছে ২৪তম স্থানে।

এই প্রতিবেদন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সুখী দিবস উপলক্ষে প্রকাশ করা হয়। এটি গ্যালাপ, অক্সফোর্ড ওয়েলবিয়িং রিসার্চ সেন্টার, ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক এবং একটি সম্পাদকীয় বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়।

যেভাবে সুখী দেশ নির্বাচন করা হয়

প্রতিবেদনটি ১৪০টির বেশি দেশের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। মানুষকে তাদের জীবন সম্পর্কে শূন্য থেকে ১০ স্কোরের মধ্যে মূল্যায়ন করতে বলা হয়। এরপর ছয়টি মূল বিষয় বিবেচনা করা হয়। সেগুলো হলো মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, সুস্থ আয়ুষ্কাল, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতি।

এ বছরের শীর্ষস্থানীয় ১০ সুখী দেশ

১. ফিনল্যান্ড

২. ডেনমার্ক

৩. আইসল্যান্ড

৪. সুইডেন

৫. নেদারল্যান্ডস

৬. কোস্টারিকা

৭. নরওয়ে

৮. ইসরায়েল

৯. লুক্সেমবার্গ

১০. মেক্সিকো

তবে উল্লেখ করার মতো একটি বিষয় হলো, কোস্টারিকা ও মেক্সিকো এই প্রথম সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ দশে প্রবেশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইংরেজিভাষী দেশের পরিস্থিতি

যুক্তরাষ্ট্র এবার ২৪তম অবস্থানে নেমে গেছে, যা এ পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে খারাপ অবস্থান। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তরুণদের মধ্যে জীবনের প্রতি অসন্তোষ, কম সামাজিক সহায়তা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এর পেছনে বড় কারণ। যুক্তরাজ্যও সুখের স্কোরে নেমে গেছে ২৩তম স্থানে। কানাডা শীর্ষ ২০-এ থাকলেও আগের চেয়ে কম সুখী।

তালিকায় নিচের দিকের দেশগুলো

সবচেয়ে নিচে ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। এরপর সিয়েরা লিওন, লেবানন, মালাউই ও জিম্বাবুয়ে।

প্রতিবেদনের সম্পাদক জন হেল্লিওয়েল বলেন, ‘মানুষকে আসলে একে অপরের তুলনায় অনেক বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবে। এতে ব্যক্তিগত সুখ বাড়ে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। এ ছাড়া আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করতে হবে।’

অর্থ যে সুখের কোনো উৎস নয়, তার অন্যতম উদাহরণ হলো এই পরিসংখ্যান। কারণ, তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বা বড় অর্থনীতির দেশগুলোর নাম রয়েছে নিচের দিকের সারিতে। সুখ শুধু আর্থিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে না; বরং সামাজিক সম্পর্ক, বিশ্বাস এবং উদার মনোভাব সুখী থাকার মূল চাবিকাঠি।

এবার পরিকল্পনা করতে পারেন আপনার পছন্দের সুখী দেশগুলো ভ্রমণের। তাতে খানিক সুখের দেখা যদি পান, ক্ষতি কী।

সূত্র: সিএনএন

আরও খবর পড়ুন:

ঘুরে আসুন কাউয়ার চর

দেশে সরকার অনুমোদিত পাঁচ তারা ২০টি হোটেল

২০২৬ সালে ভ্রমণ করার নিরাপদ দেশগুলো

ট্যুর মুরল্যান্ডের ১৪তম বর্ষপূর্তি

বিশ্বে পকেটমারি ও প্রতারণায় শীর্ষে যেসব শহর

বিদেশ ভ্রমণে যেসব ভুলে পর্যটকদের জরিমানা হতে পারে

পাঁচ তারা হোটেলে যেসব ভুল করবেন না

মালদ্বীপ ভ্রমণ এখন আর শুধু ধনীদের জন্য নয়, অনেক সাশ্রয়ী

যে ৭ কারণে বয়স্ক ও তরুণদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় তফাত থাকে

সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপনের সুযোগ মিলবে দুই মাস, দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক নয়