হোম > জীবনধারা > নো হাউ

টিকটকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করবেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

টিকটক হলো সেই প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। ছবি: বার্কলে অনলাইন

আয় করার মাধ্যম হিসেবে টিকটকের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করছেন অনেকেই। বড় তারকা না হলেও টিকটকে আয় করা যায়। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে সাধারণ কনটেন্ট ক্রিয়েটরও প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন—তাও কোনো পণ্য বানানো বা বিক্রি না করেই!

এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো—অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানে হলো—আপনি যদি অন্য কোনো কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচার করেন, আর কেউ যদি আপনার দেওয়া লিংক ব্যবহার করে সেটি কেনে, তাহলে কোম্পানিটি আপনাকে সেই বিক্রয়ের একটি অংশ কমিশন হিসেবে দেয়।

আর টিকটক হলো সেই প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।

টিকটকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করবেন যেভাবে

ধাপ ১: সঠিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বেছে নিন

টিকটকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমেই দরকার একটি নির্ভরযোগ্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি এসব প্রোগ্রাম চালু করে থাকে। এসব কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে খুঁজতে হবে তাদের কোনো অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে কি না।

এসব প্ল্যাটফর্মের নির্দেশনা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার তথ্য, ঠিকানা, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের লিংক ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্যও দিতে হতে পারে।

ধাপ ২: অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং পণ্য বেছে নিন

অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের পর প্ল্যাটফর্মটির তালিকা থেকে পণ্য বেছে নিতে হবে, যা আপনার দর্শকদের লাগতে পারে। পণ্য বেছে নেওয়ার পর একটা ‘অ্যাফিলিয়েট লিংক’ পাওয়া যাবে।

ধাপ ৩: টিকটক কনটেন্ট তৈরি করুন

এখন আপনাকে এমন কনটেন্ট বানাতে হবে, যা পণ্যের গুরুত্ব বা কার্যকারিতা বোঝায়। এটি হতে পারে—

  • আনবক্সিং ভিডিও
  • রিভিউ ধরনের ভিডিও
  • ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা
  • পণ্যটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় ইত্যাদি।

সেই সঙ্গে ভিডিওতে বলেও দিতে পারেন, আপনি কোথা থেকে পণ্যটি কিনেছেন এবং পণ্যের লিংক কোথায় রেখেছেন। ভিডিওর শেষে বা ক্যাপশনে লিখুন: ‘বায়োতে লিংক আছে, চাইলে দেখে নিতে পারেন।’

ধাপ ৪: লিংক শেয়ার করুন

টিকটক ভিডিওতে সরাসরি লিংক ক্লিক করার অপশন না থাকলেও আপনি বায়োতে একটি লিংক বসাতে পারেন। তবে এ জন্য আপনার অ্যাকাউন্টটি প্রথমে বিজনেস অ্যাকাউন্টে রূপান্তর করতে হবে। এরপর ‘এডিট প্রোফাইল’ অপশন থেকে কাজটি করতে পারবেন। অপশনটি নিজের প্রোফাইল পেজে পাবেন।

তবে কমেন্টে ও ভিডিও ক্যাপশনে লিংক দিলেও তা ক্লিকযোগ্য নয়। এগুলো সাধারণ টেক্সট হিসেবে থাকে। যদিও এগুলো কপি করে গুগলে সার্চ করলে পণ্যের লিংক খুঁজে পাওয়া যায়, তবে ব্যবহারকারীরা এত ঝামেলা করতে চান না​। তাই বায়োতেই লিংক দেওয়া ভালো।

ধাপ ৫: ট্রাফিক ও আয় ট্র্যাক করুন

অ্যাফিলিয়েট প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি দেখতে পাবেন, কোন দিনে কতজন লিংকে ক্লিক করেছে, কতজন প্রোডাক্ট কিনেছে এবং কত টাকা কমিশন এসেছে। একবার কনটেন্ট ভাইরাল হলে এক দিনে শতাধিক সেলও হতে পারে!

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সফল করার ৩টি কৌশল—

নিশ নির্বাচন করুন: যেমন—টেক গেজেট, বেবি প্রোডাক্ট, স্কিন কেয়ার

আস্থার জায়গা তৈরি করুন: ভিডিওতে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে দর্শকের আস্থা বাড়ে

নিয়মিত কনটেন্ট দিন: টিকটক অ্যালগরিদম পছন্দ করে, নিয়মিত কনটেন্ট পছন্দ করে। এ ছাড়া নিয়মিত ভিডিও দিলে ফলোয়ার ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

ল্যাপটপ ভিজে গেলে যা করবেন ও যা করবেন না

মোবাইল ডেটা সাশ্রয়ে ফোনের ‘অটো আপডেট’ বন্ধ করবেন যেভাবে

নতুন না পুরোনো ফোন কিনছেন, বুঝবেন যেভাবে

স্মার্টফোনে ওয়াই-ফাই সংযোগ না পেলে করণীয়

ফোনে নেটওয়ার্ক সমস্যা হলে করণীয়

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হওয়ার কারণ, সমাধান কী

আইফোনে বাটন চারটি কেন, কোনটির কী কাজ

টিকটকের ট্রেন্ডিং বিষয় খুঁজে পাবেন যেভাবে

টিকটক প্রোফাইলের কিউআর কোড কেন ও কীভাবে তৈরি করবেন

টিকটকের অটো স্ক্রল ফিচারের সুবিধা কী