হোম > জীবনধারা > ফিচার

পরতে পরতে সুবাস

রিদা মুনাম হক

মডেল: নিহা। ছবি: মঞ্জু আলম

প্রতিমা দেখতে সময়মতো মণ্ডপে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু যে বন্ধুর আসার কথা ছিল, তাঁর তো কোনো খবরই নেই। ফোনে রিং বেজেই যাচ্ছে, কিন্তু রিসিভ করছেন না। একা দাঁড়িয়েই প্রতিমা দেখছেন। হঠাৎ পেছন থেকে দুই হাতে চোখ ধরল কেউ। গলার স্বরের অপেক্ষা না করেই আপনি বুঝে গেলেন, আপনি যাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন, তিনিই সেই বন্ধু। কী করে বুঝলেন? তাঁর শরীর থেকে ভেসে আসা চিরচেনা সুগন্ধিই টের পাইয়ে দিয়েছে তাঁর আসার উপস্থিতি।

সুগন্ধি যেমন প্রিয় মানুষের পরিচয় বহন করে, তেমনি সুগন্ধি মানেই নস্টালজিয়া। এই সুগন্ধি গায়ে দীর্ঘক্ষণ রাখার জন্য আমাদের কী কসরত! পূজায় পরিপাটি করে সেজে বেরোনোর পর কতক্ষণ এই সুগন্ধি গায়ে স্থায়ী হবে, তা নিয়ে যত রকম দুশ্চিন্তা। আগেকার দিনে মায়েরা গরম ইস্তিরিতে পছন্দের সুগন্ধি স্প্রে করে শাড়ির আঁচল, ব্লাউজ আয়রন করে নিতেন। এতে সুগন্ধ টিকে থাকত দীর্ঘক্ষণ। কিন্তু এখন তো সেই সময়ের তুলনায় গরম অনেক বেশি পড়ে। ভিড়ভাট্টা, রোদ-বৃষ্টিতে বাইরে থাকার দীর্ঘ সময় যেন সুগন্ধি ক্যারি করা যায়, তাই চলতি ট্রেন্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফ্রেগনেন্স লেয়ারিং। এতে লং লাস্টিং সুগন্ধির পেছনে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করতে হয় না। পাশাপাশি পছন্দের সুগন্ধিতেই সারা দিন তরতাজা থাকা যায়।

ফ্রেগনেন্স লেয়ারিং কী

ফ্রেগনেন্স লেয়ারিংয়ে নানা সুগন্ধি—শাওয়ার জেল, বডি লোশন বা ময়শ্চারাইজার, বডি স্প্রে ও পারফিউম একসঙ্গে কাজে লাগানো হয়। এই প্রসাধনীগুলো একটার পর একটা পরতে পরতে ব্যবহারের ফলে শরীরের সুগন্ধ সহজে মিলিয়ে যায় না, বরং দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে এর জন্য সঠিক প্রসাধনী ও সুগন্ধি বাছাই করতে হবে এবং জানতে হবে লেয়ারিংয়ের কৌশল।

যেভাবে লেয়ারিং করবেন

  • শুরুটা করতে হবে শপিং থেকে। প্রায় একই উপকরণ বা সুগন্ধ রয়েছে এমন শাওয়ার জেল, সাবান বা বডিওয়াশ কিনুন। শাওয়ার বডিওয়াশে শিয়া বাটার ও কোকোনাট ক্রিম থাকলে এমন ময়শ্চারাইজার খুঁজে নিন, যাতে এই দুই উপকরণ রয়েছে। বডি স্প্রেও কিনুন এর কাছাকাছি সুগন্ধের। আর শিয়া, কোকোনাট ও কোকোর সুবাসের পারফিউম তো সহজলভ্য।
  • লেয়ারিং শুরু হবে গোসলের সময় থেকে। প্রথমে শাওয়ার জেল, বডিওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করতে হবে। শরীরের যেসব জায়গায় ঘাম বেশি উৎপন্ন হয়, সেসব জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
  • গোসলের পর ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায় ময়শ্চারাইজার ত্বকে ব্যবহার করুন। আগেই বলা হয়েছে, ময়শ্চারাইজারের সুগন্ধও আপনার বডিওয়াশ বা শাওয়ার জেলের মতোই হতে হবে।
  • শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা; যেমন কবজি, ঘাড়, কনুইয়ের ভাঁজ কিংবা কানের পেছনের দিকে বডি স্প্রে ব্যবহার করুন।
  • এবার পারফিউম স্প্রে করার পালা। শরীরের যে জায়গাগুলোতে বডি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন, সেখানেই বডিওয়াশ ও ময়শ্চারাইজারের সুগন্ধের সঙ্গে মিলিয়ে কেনা পারফিউম স্প্রে করুন। সুগন্ধির ঘনত্ব বডি স্প্রের চেয়ে অনেক বেশি; তাই এর গন্ধ দীর্ঘ সময় থাকে। একই পালস পয়েন্টগুলোতে বডি স্প্রে ও সুগন্ধি স্প্রে করলে সেই গন্ধ বহুক্ষণ টিকে থাকবে।

সূত্র: স্টোরিস পারফিউম ও অন্যান্য

ফুলে ফুলে রঙিন হোক বারান্দা

জেনে নিন, স্থায়ীভাবে কোন জায়গাগুলোর ওপর দিয়ে বিমান চলে না

ডিজনির রাজকুমারীরা: রূপকথার হাত ধরে প্রজন্মের শিক্ষা

হাওয়া বদল: সুস্থ থাকার ম্যাজিক দাওয়াই কি হারিয়ে গেল?

বিয়ে করলে নাগরিকত্ব পাবেন যেসব দেশের

ডলারের জন্ম যে শহরে

মন শান্ত রাখে ইনডোর প্ল্যান্ট

রুক্ষতা থেকে চুলকে বাঁচাবেন যেভাবে

বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ ড্যানিয়েল জ্যাকসনের দেশের নাম কী?

পাসপোর্টের ইতিকথা: লাল, নীল কিংবা সবুজ বইটি যেভাবে এল