হোম > জীবনধারা > সাজসজ্জা

অড্রে হেপবার্নের জন্মদিনে জেনে নিতে পারেন তাঁর চিরন্তন সৌন্দর্যের রহস্য

মোশারফ হোসেন

অড্রে হেপবার্ন, ছবি: সংগৃহীত

আজ ৪ মে, কিংবদন্তি তারকা অড্রে হেপবার্নের জন্মদিন। অড্রে কেবল একজন চলচ্চিত্র তারকাই নন, তিনি ছিলেন সৌন্দর্য ও শৈলীর জীবন্ত প্রতিমা। তাঁর চপলতা, কোমলতা ও সহজাত সৌন্দর্য আজও সময়ের গণ্ডি পেরিয়ে মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। এই সৌন্দর্যের জন্য কী করতেন তিনি? খুব বেশি কিছু নয়, বেশ কয়েকটি ভালো অভ্যাসই তাঁকে এত সুন্দর রেখেছিল।

পর্যাপ্ত পানি পান করতেন

অড্রে হেপবার্নের ছেলে লুকা ডোত্তি তাঁর বইয়ে উল্লেখ করেছেন, তাঁর মা প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতেন এবং পানিবহুল সবজি খেতেন। এসব খাবার তাঁকে সুন্দর ও হাইড্রেটেড রাখত।

তেল, ময়শ্চারাইজার ও গ্রিক ইয়োগার্ট

অড্রে তাঁর শুষ্ক ত্বকের জন্য নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ও তেল ব্যবহার করতেন। এ ছাড়া তিনি গ্রিক ইয়োগার্ট মুখে ৩০ মিনিট মেখে রেখে ধুয়ে ফেলতেন, যা ত্বক আর্দ্র ও কোমল রাখত।

সাপ্তাহিক স্টিম ফেশিয়াল

হেপবার্ন সপ্তাহে দুবার স্টিম ফেশিয়াল করতেন। একটি গরম পানির পাত্রের ওপর তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে স্টিম বা ভাপ নিতেন। এতে গভীরের ময়লা পরিষ্কার হয়ে ত্বক হয়ে উঠত সতেজ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

অড্রে হেপবার্ন, ছবি: সংগৃহীত

মেকআপ তুলতেন যত্ন নিয়ে

তিনি মেকআপ তোলার বিষয়ে অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন। থিয়েটারে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানতেন, মেকআপ না তোলার ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

নিয়মিত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতেন

হেপবার্ন বলেছিলেন, ‘আমার সৌন্দর্যের ৫০ শতাংশ আমার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছি, বাকি ৫০ শতাংশ এরনো লাজলো থেকে।’ লাজলো ছিলেন সে সময়কার একজন জনপ্রিয় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, তিনি হেপবার্ন ছাড়াও মেরিলিন মনরো ও গ্রেস কেলির মতো তারকাদেরও চিকিৎসা দিতেন।

রোদে বেরোনোর সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতেন

সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষায় তিনি খুব সচেতন ছিলেন। টুপি ও ছাতা ব্যবহার করে সূর্য থেকে নিজেকে আড়াল করতেন এবং চেষ্টা করতেন যেন সূর্যের নিচে খুব বেশি সময় কাটাতে না হয়।

অড্রে হেপবার্ন, ছবি: সংগৃহীত

চোখের মেকআপে নিখুঁততা

হেপবার্ন মাসকারা ব্যবহারের পর পাপড়িগুলোকে আলাদা রাখতে একটি সুচালো পিন ব্যবহার করতেন। আজকের দিনে বিশেষজ্ঞরা পিনের পরিবর্তে আইল্যাশ কম্ব বা বিশেষ ব্রাশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন

অড্রে বিশ্বাস করতেন, সুখী মেয়েরা সবচেয়ে সুন্দর। তিনি মানসিক সুস্থতাকে সৌন্দর্যের অংশ মনে করতেন এবং নিজেকে ভালোবাসতে পারার ব্যাপারটি গুরুত্ব দিতেন।

অড্রে হেপবার্ন, ছবি: সংগৃহীত

সাদা আইলাইনার ব্যবহার করতেন

অড্রের মেকআপের আরেকটি গোপন রহস্য ছিল চোখের নিচের পাতায় সাদা বা ন্যুড আইলাইনারের ব্যবহার, যা চোখকে বড় ও উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে।

সুন্দর থাকতে ইতিবাচক থাকাও জরুরি ইতিবাচকতা হেপবার্ন বিশ্বাস করতেন, সৌন্দর্য আসে ভেতর থেকে। তিনি বলতেন, ‘সুন্দর চোখের জন্য অন্যের ভালো দৃষ্টিতে তাকাও; সুন্দর ঠোঁটের জন্য ভালো ভাষায় কথা বলো; এবং আত্মবিশ্বাসের জন্য জেনে রাখো, তুমি কখনো একা নও।’

সূত্র: গুড হাউস কিপিং

ফুরিয়ে আসা লিপস্টিকে নতুন প্রসাধনী

ফিরে ফিরে আসে ষাটের দশকের মেকআপ

রাশি মেনে লিপস্টিক পরছেন তো?

এই শীতে চুলের সেরা ৫ রং

দশমীতে ধুতি-পাঞ্জাবির মেলবন্ধন

আটপৌরে লাল-সাদায় পূজার আনন্দসাজ

‘শাড়ির পোকা’ স্বস্তিকার মতো পূজায় সাজুন শাড়িতে

৫ ধাপে শাড়ি পরা সহজ হবে উৎসবে

‘প্রিন্ট আগের থেকে অনেক শক্তিশালী’, নতুন ম্যাগাজিন আনলেন ভোগের সাবেক সম্পাদক

পূজার সাজপোশাক