হোম > জীবনধারা

পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ কাদের জন্য, কীভাবে আবেদন করবেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মধ্য ইউরোপের সুন্দর দেশ পোল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের এই সুন্দর দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন গৃহীত হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়।

কেন পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাস করতে চাইবেন

পোল্যান্ডের স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র একটি সরকারি নথি, যা বিদেশিদের কোনো সময়সীমা ছাড়াই পোল্যান্ডে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি দেয়। এই কার্ডধারীদের অতিরিক্ত কোনো ওয়ার্ক পারমিট বা স্ব-নিযুক্তি নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় না। এর প্রধান সুবিধাগুলো হলো:

পোল্যান্ডে অনির্দিষ্টকাল থাকার এবং যেকোনো নিয়োগকর্তার অধীনে অবাধে কাজ করার অনুমতি।

শেনজেন এলাকায় প্রতি ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত পর্যটন ভ্রমণ।

নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার একটি সুস্পষ্ট পথ।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের যোগ্য হতে হলে নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:

অন্তত ৫ বছর ধরে পোল্যান্ডে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতির অধীনে একটানা, বৈধভাবে বসবাস।

অথবা, কোনো পোলিশ নাগরিককে বিয়ে করে অন্তত ৩ বছর সংসার করা এবং অস্থায়ী অনুমতির অধীনে পোল্যান্ডে অন্তত ২ বছর বসবাস।

পোল্যান্ডে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি ইইউ রেসিডেন্স পারমিটধারীর সন্তান হওয়া।

স্থিতিশীল ও নিয়মিত আয়ের প্রমাণ এবং থাকার জায়গার ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক।

একটি সরকারি সার্টিফিকেট দ্বারা নিশ্চিত করা বি১-স্তরের পোলিশ ভাষার দক্ষতা।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

দুটি সম্পূর্ণ স্থায়ী বসবাসের আবেদনপত্র (পোলিশ ভাষায়)।

বৈধ পাসপোর্ট এবং এর ফটোকপি।

সাম্প্রতিক ছবি।

পোলিশ ভাষার সার্টিফিকেট।

আয়, বাসস্থান এবং কর প্রদানের প্রমাণ।

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সার্টিফিকেট, জীবনসঙ্গীর আইডি এবং সন্তানের জন্মসনদ।

পোলিশ ভাষায় সব নথির দাপ্তরিক অনুবাদ।

সব নথি অবশ্যই ইংরেজি বা পোলিশ ভাষায় অনূদিত হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া পোল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট ভইভোডশিপ অফিস (Voivodeship Office) দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রক্রিয়াটির ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলো:

ধাপ ১: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।

ধাপ ২: আপনার বর্তমান বৈধভাবে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভইভোডশিপ অফিসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং ব্যক্তিগতভাবে আবেদন জমা দিন।

ধাপ ৩: সব নথি জমা দিন এবং আঙুলের ছাপ দিন।

ধাপ ৪: আবেদন ফি প্রদান করুন, যার মধ্যে পিএলএন ৬৪০ (প্রায় ২৩ হাজার ২৫৮ টাকা) স্ট্যাম্প ডিউটি এবং পিএলএন ১০০ (প্রায় ৩ হাজার ৬৩৫ টাকা) রেসিডেন্স কার্ড ফি অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ মোট পিএলএন ৭৪০ (প্রায় ২৬ হাজার ৮৯৪ টাকা)।

ধাপ ৫: প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা করুন, যা সাধারণত ৬-১২ মাস সময় লাগে, তবে আপনার আবেদনের ধরনের ওপর নির্ভর করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।

ধাপ ৬: অনুমোদনের পর, কার্ড ইস্যু করার ফি প্রদান করুন এবং স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করুন।

উল্লেখ্য, এটি শুধু আবেদন ফি; অনুবাদ, ভাষা পরীক্ষা এবং ছবির মতো অতিরিক্ত খরচের কারণে মোট খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:

প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পুরুষদের যে ৭টি অভ্যাস বদলানো উচিত

আজকের রাশিফল: বহু যত্নে লালিত স্বপ্ন সত্যি হবে, সাবধানে মুখ খুলুন

কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা

ফিরে ফিরে আসে ষাটের দশকের মেকআপ

ঘুরে আসুন কাউয়ার চর

দেশে সরকার অনুমোদিত পাঁচ তারা ২০টি হোটেল

আজকের রাশিফল: প্রিয়জন-বেষ্টিত থেকেও নিঃসঙ্গ লাগবে, মানুষ চেনার অধ্যায় শুরু

২০২৬ সালে ভ্রমণ করার নিরাপদ দেশগুলো

ট্যুর মুরল্যান্ডের ১৪তম বর্ষপূর্তি

সামনেই বিয়ে? ত্বকের প্রস্তুতি শুরু হোক এখন থেকেই