হোম > ইসলাম

দাম্পত্যজীবনে সুখ-সমৃদ্ধি

মাহমুদ হাসান ফাহিম

পরিবারের স্থায়িত্ব, সুখ-শান্তি ও সঠিক বিকাশ আবর্তিত হয় স্বামী ও স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। আলাদা পরিবেশে বেড়ে ওঠা দুটি মানুষ বিয়ের মাধ্যমে একটি পরিবার গড়ে তোলে। তাই বিয়ের পর তাদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। তবে পরস্পরের প্রতি যথাযথ আস্থা, বিশ্বাস, সম্মান ও সমঝোতার মানসিকতা থাকলে সংসার সুখের হয়। পবিত্র কোরআনে স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের সম্পূরক বলে আখ্যা দিয়ে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা তোমাদের জন্য পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্য পোশাক।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। দুজনের কাছেই দুজনের চাহিদা থাকে। এখানে চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি অন্তহীন।সব দায়িত্ব শতভাগ পালন করা সব সময় সম্ভব হয় না। ফলে মতের অমিল, সম্পদের অপর্যাপ্ততা বা অসম্মানের কারণে অনেক সময় পরিবারে অশান্তি নেমে আসে।

পারিবারিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম সবাইকে জবাবদিহির শিকলে আবদ্ধ করে রেখেছে। হাদিসে এসেছে, ‘প্রত্যেক পুরুষ তার পরিবার-পরিজনের রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাকে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্ত্রী, তার স্বামীর ঘর-সংসার ও তার সন্তানাদির রক্ষণাবেক্ষণকারী, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তার দায়িত্ব সম্পর্কে। কাজেই, তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং সকলেই জিজ্ঞেসিত হবে।’ (আবু দাউদ: ২৯১৮)

সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর ঐক্য, সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে দুজনকেই সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। সুখ-শান্তি নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই পারে একটি সুস্থ-সুন্দর দাম্পত্যজীবন গড়ে তুলতে।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতকালে অজুতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা

আজ পবিত্র মক্কা-মদিনায় জুমা পড়াবেন যাঁরা

রমজানের প্রস্তুতি শুরু হোক রজব মাস থেকেই

নতুন বছরে মুমিনের আত্মসমালোচনা

দক্ষিণ ভারতের প্রাচীনতম ৩ মসজিদ

মুসলিম নারীর সৌন্দর্যচর্চায় হালাল নেলপলিশ

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের পোস্টে সুরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত

সফর শেষে নিজ দেশে ফিরে যে আমল করতেন নবীজি