চাঁদের সঙ্গে আমাদের ভিন্ন ধরনের এক সম্পর্ক। ছেলেবেলায় মায়ের মুখে চাঁদ মামার কবিতা শুনে এর প্রতি ভিন্ন এক টান তৈরি হয়। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গল্প, কবিতা, উপন্যাসে চাঁদের উপস্থিতি আমাদের আরও আপ্লুত করে।
যান্ত্রিক জীবনে আকাশে তাকাবার ফুরসত পাই না অনেকেই, তবে মাঝে মাঝে তাকিয়ে যখন চাঁদের অপরূপ সৌন্দর্য দেখি—মুগ্ধ না হয়ে উপায় থাকে না।
আকাশে তাকিয়ে চাঁদ দেখার মধ্যে অন্য ধরনের এক ভালো লাগা কাজ করে। আর সেটি যদি হয় ঈদের চাঁদ—তাহলে তো কথাই নেই। মুসলমানদের প্রধান দু’টি উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। শাওয়াল এবং জিলহজের চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে কখন আমরা এই উৎসব পালন করব।
মুসলমানদের প্রতিটি বৈধ কাজই নিয়ত শুদ্ধ থাকলে ইবাদতে পরিণত হয়। নতুন চাঁদ দেখাও এর ব্যতিক্রম নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) আকাশে নতুন চাঁদ দেখলে চমৎকার একটি দোয়া পড়তেন—যে দোয়া আমাদের জীবনে শান্তি, নিরাপত্তা এবং আল্লাহর বিশেষ বরকত আহ্বান করে।
সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন চাঁদ দেখে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমান। ওয়াস্ সালামাতি ওয়াল ইসলাম। রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহু।’
দোয়াটির অর্থ: ‘হে আল্লাহ, এ নতুন চাঁদ নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় করো। (হে চাঁদ,) আমার রব ও তোমার রব এক আল্লাহ। (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫১)