হোম > ইসলাম

হজ প্রভুপ্রেম ও আত্মত্যাগের প্রতীক

আবরার নাঈম 

পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

কাবা হলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর। হজরত আদম (আ.)-এর সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে ফেরেশতারা প্রথম কাবাঘর নির্মাণ করেন। এরপর হজরত আদম (আ.) পুনর্নির্মাণ করেন। তারপর হজরত নুহ (আ.) এবং পরে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) মিলে কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করেন।

কাবাঘর পুনর্নির্মাণের পর আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে নির্দেশ দেন মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দিতে।

পবিত্র কোরআনে সেই বর্ণনা এসেছে এভাবে—আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উঠের পিঠে সওয়ার হয়ে। তারা আসবে দূরদূরান্তের পথ অতিক্রম করে। (সুরা হজ: ২৭)

সেই ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ বায়তুল্লাহ যান হজ করতে। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে। মহান রবের প্রতি ভালোবাসার নজরানা পেশ করতে। যার ফলে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয় কাবা প্রাঙ্গণ।

হজ লাখ-কোটি মোমিনের মিলনমেলা। হজের মৌসুমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়তুল্লাহ জিয়ারতে আসেন অসংখ্য মানুষ। একসঙ্গে এত মানুষের সমাগমে নানাবিধ কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেই কষ্ট যেন কষ্ট নয়, বরং প্রেমময় মাবুদের দেওয়া এক টুকরো সুখ।

হজ চলাকালে সব ধরনের নিষিদ্ধ কাজকর্ম, অশ্লীল কথাবার্তা ও যাবতীয় পাপাচার থেকে বেঁচে থাকা কর্তব্য—যাতে সামান্য উদাসীনতার কারণে বিনষ্ট না হয় মহৎ একটি ইবাদত এবং হাসিল হয় সমূহ কল্যাণ।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত থাকল, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ হতে ফিরে আসবে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল। (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)

জমাদিউস সানির দ্বিতীয় জুমা: মুমিনের করণীয়

মসজিদগুলো হয়ে উঠুক শিশুবান্ধব

ফুটপাতে পথশিশুদের হিমশীতল রাত

ফরজ গোসলের সময় নারীদের চুল ধোয়ার বিধান

শায়খ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার হারিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দাওয়াতুল হকের মারকাজি ইজতেমা শনিবার

একের পর এক ভূমিকম্প মুমিনকে যে সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছে

স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার গভীরতা বাড়াবে যে সুন্নাহ

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫