হোম > ইসলাম

ওমরাহ ভিসার নতুন নিয়মে ধাক্কা—আরামও আছে, তবে পকেটে চাপ

তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, মক্কা (সৌদি আরব)

পবিত্র কাবা ঘিরে দোয়া ও মুনাজাত করছেন হাজিরা। ফাইল ছবি

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের জুন থেকে ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে ‘নুসুক মাসার’ (Nusuk Masar) অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ওমরাহ ভিসার আগে বাধ্যতামূলকভাবে হোটেল ও পরিবহন বুকিং করতে হচ্ছে। সরকারের যুক্তি, এতে হাজিদের সেবার মান উন্নত হবে, ভোগান্তি কমবে এবং ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে।

তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এই নতুন নিয়মে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে যাঁরা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থেকে অথবা স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করে খরচ কমাতেন, তাঁদের জন্য ওমরাহ এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

চলতি জুলাই মাসের শুরুতেই বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে আসা বহু যাত্রী জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে ভিসা পেতে হলে আবাসন ও পরিবহনের জন্য আগেই অর্থ গচ্ছিত করতে হচ্ছে। ফলে বিশেষ করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষ ওমরাহ পালনে হিমশিম খাচ্ছেন।

ঢাকায় হজ ও ওমরাহ-সংক্রান্ত এজেন্সি ‘মাকারিম’-এর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহমাদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন ব্যবস্থায় সেবার মান অনেক বেড়েছে। বিমানবন্দরে নামার পরপরই নির্ধারিত গাড়ি হাজিকে হোটেলে পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু এতে করে যাঁরা কম খরচে ছোট গ্রুপ করে ওমরাহ পালন করতে চাইতেন, তাঁদের জন্য সমস্যা হচ্ছে।’

বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ওমরাহ পালন করতে আসা মোহাম্মদ তোহা কাজী বলেন, ‘ব্যবস্থাটা ভালো, ভোগান্তি কম। তবে আগের তুলনায় খরচ দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’

চাঁদপুর থেকে আসা মাওলানা আফসার উদ্দিন মুহিব্বি বলেন, ‘আগে ভিসা নিয়ে এখানে এসে হোটেল খুঁজতাম, তখন খরচ কম হতো। এখন সব আগেই বুকিং করতে হয়, তাতে সময় ও টাকাও বেশি লাগছে।’

এই খরচ বাড়ার একটি বড় কারণ অনুমোদনবিহীন হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া। ফলে কম খরচে থাকা-খাওয়ার সুযোগ নেই। অন্যদিকে সরকার অনুমোদিত হোটেলের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় এই সুযোগে অনেক হোটেল নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে গোপনে কয়েক গুণ বেশি আদায় করছে।

মক্কার একটি হোটেল ব্যবস্থাপক বলেন, ‘এখন যাত্রীরা আগেই বুকিং করে আসছেন। আমাদের কাজ সহজ হচ্ছে। যাত্রীরাও নির্ভার থাকছেন।’

নুসুক মাসার অ্যাপের মাধ্যমে হোটেল ও পরিবহন বুকিং এখন কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সরকারের দাবি, এতে ভুয়া এজেন্ট ও অতিরিক্ত চার্জিংয়ের ঝুঁকি কমেছে। পাশাপাশি হজ-ওমরাহ খাতে স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব এসেছে।

তবে ভোক্তারা বলছেন, খরচের এই বাড়তি চাপ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই এখন অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী প্যাকেজের খোঁজ করছেন।

বিভিন্ন হজ এজেন্সির প্রতিনিধিদের মতে, সরকারের উচিত ওমরাহর জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্যাকেজ চালু করা। যেমন—সীমিত আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকিসহ প্যাকেজ বা সহজ শর্তে বুকিং সুবিধা। এতে করে ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত সব শ্রেণির মানুষের জন্য আরও সহজ ও সুলভ হবে।

মসজিদগুলো হয়ে উঠুক শিশুবান্ধব

ফুটপাতে পথশিশুদের হিমশীতল রাত

ফরজ গোসলের সময় নারীদের চুল ধোয়ার বিধান

শায়খ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার হারিয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দাওয়াতুল হকের মারকাজি ইজতেমা শনিবার

একের পর এক ভূমিকম্প মুমিনকে যে সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছে

স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার গভীরতা বাড়াবে যে সুন্নাহ

আজকের নামাজের সময়সূচি: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

কুকুরকে পানি পান করিয়ে আল্লাহর ক্ষমা পেয়েছিলেন যে নারী