নিউ জার্সিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, গত ২৯ এপ্রিল ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের মন্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত। বেসেন্ট বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমৃদ্ধ বস্ত্র শিল্পের’ প্রয়োজন নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনসের সমালোচনা করেছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা স্নিকার্স ও টি-শার্ট তৈরির কথা ভাবছি না। আমরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে চাই। আমরা বড় কিছু তৈরি করতে চাই। আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজগুলো করতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি টি-শার্ট তৈরিতে আগ্রহী নই। আমি মোজা তৈরিতে আগ্রহী নই। আমরা অন্য জায়গায় সেগুলো খুব ভালোভাবে করতে পারি। আমরা চিপ, কম্পিউটার এবং আরও অনেক কিছু—যেমন ট্যাংক ও জাহাজ তৈরি করতে চাই।’
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএপিএ) ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, শুল্ক এই শিল্পের জন্য ভালো নয়। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট স্টিভ লামার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের পরা ৯৭ শতাংশ পোশাক ও জুতা আমদানি করা হয়। পোশাক ও জুতার শিল্প ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শুল্কপ্রাপ্ত শিল্প। আমাদের বাস্তবসম্মত সমাধানের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যা পরিবর্তন আনতে পারে।’
লামার আরও বলেন, ‘আরও শুল্কের অর্থ হবে মার্কিন উৎপাদকদের জন্য উচ্চতর উৎপাদন ব্যয় এবং নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের জন্য উচ্চ মূল্য।’
ট্রাম্প ব্যাপক শুল্ক আরোপ করে বিশ্ব বাজারকে উল্টে দিয়েছেন। শুক্রবার তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন পণ্যের ওপর ১ জুন থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলে কঠোর বাণিজ্যনীতি পুনরুজ্জীবিত করেন। তিনি অ্যাপলকে সতর্ক করেছেন যে মার্কিন ভোক্তাদের কেনা সমস্ত আমদানি করা আইফোনের ওপর তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারেন।
তবে রোববার তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের হুমকির বিষয়ে সুর নরম করেন। ওয়াশিংটন ও ২৭ জাতির জোটের মধ্যে আলোচনার জন্য তিনি সেই শুল্কের সময়সীমা ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন।