পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন ও দূরপ্রাচ্যের দেশ তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে ত্রিমুখী ভূরাজনীতি গভীর হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের ১৬ নভেম্বরের ভিডিও বৈঠকের পর এ উত্তেজনা যেন আরও বেড়েছে। ইউক্রেন ও তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ চীনা প্রেসিডেন্ট সি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কাছে আনছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
রয়টার্সের তথ্য, ইউক্রেনের আশপাশে সম্প্রতি প্রায় ১ লাখ অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার তরফে বলা হচ্ছে, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণসাগর ও ইউক্রেনে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, যা রাশিয়াকে উদ্বিগ্ন করছে। এদিকে, তাইওয়ান নিয়ে অভিলাষ ত্যাগ করতে গতকালও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৩ সাল থেকে সি-পুতিনের মধ্যে নিয়মিত গোপন প্রতিবেদন বিনিময় হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে। তবে সি-পুতিনের সম্পর্কের মধ্যে লুকোচুরির কিছু নেই।
১৯ নভেম্বর চীন-রাশিয়া জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে ১০ ঘণ্টাব্যাপী সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এক যৌথ বিবৃতি এ মহড়া কৌশলগত পর্যায়ে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াবে এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি এক আলোচনায় চীনকে নিজেদের বন্ধু সম্বোধন করে পুতিন বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমা কিছু পার্টনার মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিরোধ বাধানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সাবধান। আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়া বিরোধীদের শক্তিশালী করে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতায় উসকানি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মূলত সি-পুতিনের সম্পর্কে গভীরতর করছে।