চলমান ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলাগুলোর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া একটি নজিরবিহীন আইনি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হলেন, যখন তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
নিউইয়র্কের আদালতে একটি আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ফেডারেল আইনেও একাধিক ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি তিনি। এই অবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কী রায় হবে। আরও যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলোরই-বা কী হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারের সময় যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই অভিযোগের পরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। আগামী ২৬ নভেম্বর ওই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্পের আইনজীবীরা সম্ভবত সাজা দেওয়ার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা হয়তো যুক্তি দেখাবেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে সাজা দেওয়া উচিত হবে না।