পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৯ মে দাঙ্গাসংক্রান্ত আটটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মুহাম্মদ শফি সিদ্দিকী ও বিচারপতি হাসান আজহার রিজভী।
২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তাঁর দল পিটিআইয়ের সমর্থকেরা দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও দাঙ্গা শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা সামরিক স্থাপনা ও রাষ্ট্রীয় ভবন ভাঙচুর করেন এবং লাহোর কোর কমান্ডারের বাসভবনেও হামলা চালান। এ ঘটনার পর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ও দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৯ মের দাঙ্গাসংক্রান্ত মামলাগুলোতে ওই বছরের নভেম্বরে লাহোরের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ইমরান খানের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর চলতি বছরের ২৪ জুন লাহোর হাইকোর্টও (এলএইচসি) তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। এর কয়েক দিন পর ইমরান খান সুপ্রিম কোর্টে এ খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের পতনের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির মামলা ও কারাবন্দী জীবনের সূচনা হয়। ২০২৩ সালের ৯ মে তাঁর গ্রেপ্তার ঘিরে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পরে জামিনে মুক্ত হলেও আবারও গ্রেপ্তার হন সেই বছরের ৫ আগস্ট। এর পর থেকে তিনি বন্দী রয়েছেন। ৯ মে দাঙ্গাসংক্রান্ত মামলায় জামিন পেলেও অন্যান্য মামলার কারণে তিনি বন্দী আছেন।