হোম > বিশ্ব > পাকিস্তান

পাকিস্তান এয়ারলাইনসের ক্রুরা কানাডায় গিয়ে উধাও হচ্ছেন কেন 

সাধারণত যখন কোনো দেশের পতাকাবাহী বিমান কানাডায় পৌঁছায়, তখন ক্রুরা বিমানবন্দরের আশপাশের কোনো হোটেলে বিশ্রাম নিয়ে আবারও চলে যান পরবর্তী গন্তব্যে। কিন্তু পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের ক্রুদের অনেকেই কানাডায় গিয়ে আর দেশে না ফিরে উধাও হয়ে যাচ্ছেন। 

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) বরাত দিয়ে কানাডার সম্প্রচারমাধ্যম সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, বিগত দেড় বছরে তাদের অন্তত আটজন ক্রু উধাও হয়ে গেছেন। পিআইএর মুখপাত্রের ধারণা, যাঁরা উধাও হয়েছেন, তাঁরা সম্ভবত চাকরি ছেড়ে দিয়ে কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। 

পিআইএর মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাফিজ খান সিটিভিকে বলেছেন, কানাডার টরোন্টোর পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে অন্তত আটজন ক্রু উধাও হয়ে গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এমন উধাও হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিগত ১০ বছর ধরেই এমনটা ঘটছিল। তবে সর্বশেষ কয়েক বছর ধরে এটি খুব ঘন ঘন ঘটছে। 

আবদুল্লাহ হাফিজ খানের মতে, উধাও হওয়া আটজনের পরিবার যেহেতু তাঁদের নিখোঁজ বা গুম হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেনি, তাই ধারণা করা যায়, তাদের আশ্রয় মঞ্জুর হয়েছে। তাঁর মতে, বিষয়টি পিআইএর অন্য ক্রুদেরও একই পথ অনুসরণে উৎসাহিত করছে। 
 
কিন্তু কেন পিআইএর ক্রুরা উধাও হয়ে যাচ্ছেন? এর প্রকৃত কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন না হলেও প্রকৃত চিত্র জানা সহজ নয়। তবে অনুমান করা যেতে পারে। এ বিষয়ে পিআইএর মুখপাত্রের অনুমান, পাকিস্তানের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কানাডার নজরে দেশটি নেতাবাচক অবস্থানে আছে। আর এ কারণে যারা পাকিস্তান থেকে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো বিবেচনায় কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তখন তা সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা হয়। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টি তো আছেই। 

পিআইএর এই কর্মকর্তার মতে, ক্রু গায়েব হওয়ার আরেকটি কারণ হলো জনসংযোগের অভাব। তিনি জানান, মূলত বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে পিআইএর যোগাযোগ কম থাকায় ক্রু উধাও হওয়ার বিষয়টি ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে তিনি জানিয়েছেন, পিআইএ কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি ও পাকিস্তানি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করছে, যাতে এই ক্রু উধাও হওয়ার বিষয়টি ঠেকানো যায়। 
 
আবদুল্লাহ হাফিজ খানের মন্তব্য আমলে নিয়ে কানাডা সরকারে ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ বিভাগের মুখপাত্র এরিন কারবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গোপনীয়তার দোহাই দিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। 

যারা কানাডায় গিয়ে উধাও হয়েছেন, তাদের অধিকাংশের বয়সই ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে অনেকেই এক থেকে দুই দশক ধরে পিআইএর সঙ্গে কাজ করেছেন। সর্বশেষ একজন গত ফেব্রুয়ারিতে উধাও হয়েছেন। ঘটনার দিনে তাঁর হোটেলের সামনে তাঁকে নেওয়ার জন্য বাস অপেক্ষা করলেও তিনি আসেননি। এমনকি তাঁর ফোন এবং হোটেল কামরার টেলিফোন নম্বরেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। 

পাকিস্তান এয়ারলাইনসের ক্রুদের কানাডায় গিয়ে উধাও হওয়ার পেছনে আরও একটি বিষয় কাজ করতে পারে। সেটি হলো কানাডার অ্যাসাইলাম বা আশ্রয়নীতি। কানাডা সরকারের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে বলা আছে, কানাডার কোনো একটি প্রবেশ পয়েন্ট দিয়ে দেশটিতে হাজির হওয়ার পর যে কেউ সশরীরে বা অনলাইন অ্যাসাইলামের আবেদন করতে পারবেন। 

এরপর কানাডার বর্ডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন ওই ব্যক্তিকে দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ডের সামনে হাজির করা হবে কি না। এরপর সেই ব্যক্তিকে যদি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড কানাডায় থাকার অনুমতি দেয়, তবে তিনি দেশটির সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাবেন। এমনকি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তিনি কাজেরও সুযোগ পাবেন।

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত পাঠদান

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানের ১৪ বছর কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নত প্রযুক্তি কিনল পাকিস্তান

পাকিস্তানের সরকার নয়তো জঙ্গি—যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ আফগান তালেবানকে

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

আফগান সীমান্তে উত্তেজনা: এবার টিটিপির হামলায় ৬ পাকিস্তানি সেনা নিহত

পাকিস্তানে দুই সাংবাদিক ও পিটিআই নেত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া