হোম > বিশ্ব > পাকিস্তান

এবার সাইফার মামলায় খালাস পেলেন ইমরান খান 

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে এই মামলায় খালাস পেয়েছেন তাঁর দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি। গতকাল সোমবার গভীর রাতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এক রায়ে ইমরান খান ও কুরেশিকে খালাস দেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারক আমির ফারুক ও মিঞাগুল হাসান আওরঙ্গজেবের বেঞ্চ গতকাল সোমবার রাতভর শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। এই মামলায় এর আগে ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিশেষ আদালত। 

এর আগে, ৩০ মে গত বছরের ৯ মের দাঙ্গাসংক্রান্ত দুই মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে শেহজাদ টাউন থানায় দায়ের করা দুটি মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশনটি বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট উমর শাব্বির অনুমোদন করেছেন। জেলা ও দায়রা আদালত রায়ে বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে না পারায় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

তারও আগে গত বছরের ৯ মের দাঙ্গাসংক্রান্ত দুটি মামলায় গত ১৫ মে খালাস পেয়েছিলেন ইমরান খান। বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সাহিব বিলাল তাঁর খালাসের আদেশ জারি করেছিলেন। তিনিই দাঙ্গার মামলাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে ওই দুটি মামলাই ইসলামাবাদের খান্না থানায় দায়ের করা হয়েছিল। ইমরানের বিরুদ্ধে মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় তাঁর খালাসের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। 

এ ছাড়া, গত ২০ মে সহিংসতার দুটি মামলা থেকে খালাস পান ইমরান খান ও তাঁর দল পিটিআইয়ের নেতারা। দুই বছর আগে ২৫ মে ‘আজাদি মার্চ’ বিক্ষোভের সময় দাঙ্গা, পরিষেবা বাধাগ্রস্ত করা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে দুর্বৃত্তায়নের অভিযোগে ইমরান খান ও তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। 

গত বছরের ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তখন সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা হয়। ওই সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন অভিযোগে ইমরানসহ পিটিআই নেতাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হন হাজার হাজার পিটিআই নেতা-কর্মী। 

 ২০১৮ সালে ইমরান খান নির্বাচনে জয়ী হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। এর চার বছর পর অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ইমরান খান সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করেন। সেনাবাহিনী অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। 

এদিকে, সর্বশেষ এই রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহার আলী খান বলেছেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অপ্রমাণিত। এ সময় তিনি দাবি করেন, মিথ্যা এই মামলার কারণে ইমরান খানকে ১০ মাস অহেতুক কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইমরান খান শিগগির মুক্ত হয়ে রাজনীতিতে ফিরবেন। 

সাইফার মামলা নামে পরিচিত এই মামলায় প্রথমবারের মতো ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশিকে অভিযুক্ত করা হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। পরে গত নভেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলাকে অন্তঃসারশূন্য বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলেন কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপন করে এই মামলা চালানো ‘বেআইনি।’

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

দেশভাগের পর এই প্রথম পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত পাঠদান

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানের ১৪ বছর কারাদণ্ড

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের উন্নত প্রযুক্তি কিনল পাকিস্তান

পাকিস্তানের সরকার নয়তো জঙ্গি—যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ আফগান তালেবানকে

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

আফগান সীমান্তে উত্তেজনা: এবার টিটিপির হামলায় ৬ পাকিস্তানি সেনা নিহত

পাকিস্তানে দুই সাংবাদিক ও পিটিআই নেত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া