এক আইনজীবীকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় ‘অভিযুক্ত’ জার্মান দুই শেফার্ডের ‘মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকর করা হয়েছে। গত সোমবার পাকিস্তানের করাচিতে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
পাকিস্তানের করাচির জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান মির্জা ওই কুকুরগুলোর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে কুকুর দুটিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত মাসে প্রাতর্ভ্রমণে বের হওয়া মির্জা আখতার নামের এক আইনজীবীকে হামলা করে কুকুর দুটি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে ফাঁকা সড়কে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাঁর ওপরে চড়াও হয়েছে তারা। ভিডিওটি দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপর কুকুরের মালিক হুমায়ুন খান ও আইনজীবী মির্জার মধ্যে সমঝোতা হয়। শেষ পর্যন্ত কুকুরের মালিককে ক্ষমা করে দিতে রাজি হয়েছেন, তবে শর্তসাপেক্ষে। প্রধানতম শর্তই হলো, কুকুর দুটিকে কোনো পশু চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে বিনা যন্ত্রণায় মেরে ফেলতে হবে। ওই ধরনের আরও কুকুর তাঁর কাছে থাকলে সেগুলোকেও মেরে ফেলতে হবে। এ ছাড়া আইনজীবীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো হিংস্র কুকুর তিনি পুষবেন না। এ ছাড়া আরেকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। তা হলো, যদি তাঁর কোনো পোষা প্রাণী থাকে, তবে করাচির ক্লিফটন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে সেটির নাম নথিভুক্ত করতে হবে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হ্যান্ডলার ছাড়া সেই পোষ্যকে রাস্তায় বের করা যাবে না।
এমনই নানা শর্তের মাধ্যমে বোঝাপড়া হয়েছে। সাক্ষীদের দিয়ে সইও করানো হয়েছে। তা আদালতে জমাও দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের বোঝাপড়ার ঘটনায় পশুপ্রেমীরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।