পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনাকারীর ভূমিকা পালন করতে চায়। কোনোভাবেই বেইজিং–ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় ভূরাজনৈতিক ফুটবল হতে চায় না। এমনই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ফরেইন পলিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিলাওয়াল ভুট্টো চীন–যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান সম্পর্কের ভিত্তিতে ইসলামাবাদের অবস্থান কি হবে সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফরেইন পলিসির রবি আগারওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিলাওয়াল বলেন, ‘চীন এমন পরিস্থিতিতে (বিপদের সময়) যা করেছে—তা শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তান যে দেশের সঙ্গেই হোক—তা সম্পূর্ণভাবে চীনের সিদ্ধান্ত। ঠিক যেমন এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে সেটিও শতভাগ দেশটির একক সিদ্ধান্ত।’
বিলাওয়াল আরও বলেন, ‘চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভূমি হওয়ার পরিবর্তে আমরা চাই পাকিস্তান অতীতে যে ভূমিকা রেখেছিল তা অব্যাহত রাখুক। পাকিস্তান মূলত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করেছিল, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পেরেছিল। এবং ঠিক এই মুহূর্তে আমরা যখন একটি ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যাচ্ছি তখন আমরা কোনো উত্তেজনার অংশ হতে চাই না কিংবা কোনো ভূরাজনৈতিক ফুটবল হতে চাই না।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানের ভূরাজনৈতিক বিশাল পরিবর্তনের সময় আমরা বিশ্বের দুই পরাশক্তির মাঝে সেতুবন্ধন রচনাকারী হিসেবে করে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে চাই।’ এ সময় বিলাওয়াল আশা প্রকাশ করেন যে, ‘সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বন্ধু হিসেবে পাকিস্তানের অনন্য অবস্থানের কারণে ইসলামাবাদ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উভয় দেশকে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতায় উৎসাহিত করতে পারে।’