পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) করা ‘অবমাননা’ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য বুধবার (২ আগস্ট) নির্ধারিত দিন থাকলেও তা আবারও পিছিয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ২২ আগস্ট পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সে সময়ই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে ‘অসংযত’ ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে ইসিপি গত বছর পিটিআই প্রধান ইমরান খানসহ তাঁর দলের নেতা আসাদ উমর এবং প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
ওই মামলার শুনানিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনে হাজির হওয়ার পরিবর্তে পিটিআই নেতারা উচ্চ আদালতে আপিল করে এবং দাবি করে যে, কমিশনের অবমাননার জন্য ২০১৭ সালের নির্বাচনী আইনের ১০ সেকশনে যে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা সংবিধান পরিপন্থী।
গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খান, আসাদ উমর এবং ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইসিপিকে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ইসিপি তাঁদেরকে অভিযুক্ত করে।
জুলাই মাসে তিনজনকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হলেও তাঁরা কমিশনে হাজির না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে আসাদ উমরের আইনজীবীর করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা গত ২৪ জুলাই ইমরানের জন্য একটি জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে কমিশন হাজির করতে বলা হয় ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধানকে।