হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

হুতিদের ২১টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ১৮টি ড্রোন ও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। লোহিতসাগরে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের পথে চলা জাহাজগুলো লক্ষ্য করে এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপি খবরটি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, লোহিতসাগরের দক্ষিণে ইয়েমেন নিয়ন্ত্রিত অংশ থেকে ইরান সমর্থিত হুতি গ্রুপ ইরানের তৈরি ড্রোন, জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংসের এই অভিযানে ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং একটি ব্রিটিশ ও তিনটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার থেকে পরিচালিত এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান অংশ নেয়।

সেন্টকম বলেছে যে, এখনো কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

হুতিদের আক্রমণ থেকে লোহিত সাগরের জাহাজগুলো রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে একটি বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। লোহিত সাগরের যে নৌপথ সুরক্ষিত রাখার জন্য এই টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে, তাতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১২ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভর করে।

লোহিতসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করার জন্য হুতিদের সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১২টি দেশের সম্মিলিত বাহিনী। এই সতর্কবার্তার এক সপ্তাহ পরে ঘটল এই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের ঘটনা।

ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গ্রুপ হুতি এর আগে বলেছিল, তারা জাতীয়তা-নির্বিশেষে ইসরায়েলে ভ্রমণকারী যেকোনো জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে। গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ হিসেবে হুতিরা এই অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক পশ্চিমা দেশ যৌথভাবে লোহিতসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত ও এডেন উপসাগরে টহলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে বহুজাতিক টহল কোনো কাজে আসবে না বলে দাবি করেছিল হুতিরা। সংগঠনটির একজন সিনিয়র নেতা তখন বলেন, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোট গঠন লোহিতসাগরে হুতিদের জাহাজ আক্রমণ করা থেকে থামাতে পারবে না।

এদিকে ফিলিস্তিনের হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অবিরত বোমা বর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েল। তিন মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘ বলছে, এই যুদ্ধের কারণে গাজার ২৪ লাখ জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকেরা দুর্ভিক্ষ ও ভয়াবহ সব রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

জানুয়ারিতেই হতে পারে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

তীব্র শীতে গাজায় প্রাণ সংহারকারীর ভূমিকায় ‘বায়রন’, নিহত অন্তত ১৪

ইরানে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি গ্রেপ্তার

এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ

ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে গাজায় এক দশকের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

সিরিয়ায় এক বছরে ৬০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, দখল করেছে ভূমি