ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো প্রতিরক্ষা অভিযানে ১০টি ‘শত্রু ইসরায়েলি বিমান’ বা ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইরানি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক ঘণ্টায় বিভিন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটের যৌথ অভিযানে ১০টি শত্রু বিমান শনাক্ত ও গুলি করে নামানো হয়েছে। এসব বিমান ইসরায়েলের গোয়েন্দা ও হামলাকারী ড্রোন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গুলি করে নামানো ড্রোনগুলো দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের আকাশে সক্রিয় ছিল এবং তারা ইরানের কৌশলগত স্থাপনার ওপর নজরদারি ও হামলার চেষ্টা করছিল।
গত ১৩ জুন ভোর থেকে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু করে। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র (যেমন নাতানজ), সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র মজুদাগার, দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট।
এর জবাবে ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়। এই প্রেক্ষাপটে ইরান নিজ আকাশসীমা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দাবি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের ভূপাতনের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংঘাতে ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশই ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে। ফলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দক্ষতা ও প্রতিক্রিয়া সময় এখন কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিশ্ব নেতারা ইতিমধ্যে দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছেন, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।