আবারও ইয়েমেনি ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে, আহত আরও প্রায় ১৩০ জন। হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী সানায় হুতিদের সামরিক সদর দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধারকাজ চলছে।
হুতি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হুতিদের সামরিক দপ্তর। পাশাপাশি বেশ কিছু বেসামরিক বাড়িঘর আর একটি জ্বালানি ডিপোও ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালায় হুতিরা। এরই জবাবে এই হামলা চালানো হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, গাজায়ও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খুব শিগগিরই গাজা সিটিতে নতুন মাত্রায় হামলা শুরু করা হবে। সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের অঞ্চলটি ছেড়ে উপত্যকার দক্ষিণে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ জন নিহত হয়েছে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের কারণে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও আংশিক বাণিজ্য স্থগিত করার প্রস্তাব আনবেন। হামাস নেতাদের টার্গেট করে কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর আন্তর্জাতিকভাবে দেশটির ওপর যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, এ ঘোষণায় তা আরও তীব্র হলো।