হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সিরিয়ার রাজধানীর আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২ 

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার সিরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গাজায় ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনের বাইরে সর্বশেষ এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রাজধানী দামেস্কের কাফর সুসা এলাকা লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক আলোকচিত্রী জানান, বোমার আঘাতে দামেস্কের নয়তলা ভবনের বাইরের অংশ আংশিক কালো হয়ে গেছে, চতুর্থ তলার আশপাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আশপাশের গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় সাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে এবং দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

সিরিয়ার রাজধানীর কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা কাফর সুসায় ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নিরাপত্তা শাখা, গোয়েন্দা সদর দপ্তর এবং ইরানের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশের ওপর শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রধানত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর পাশাপাশি সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অবস্থানসহ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা করে ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ হামলা বেড়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি দামেস্কের কাছে একটি অভিজাত এলাকায় একটি ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

এর একদিন আগে, দামেস্কের পশ্চিমে সামরিক বিমানবন্দরের কাছে এক এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় বলে জানায় অবজারভেটরি। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির দিক থেকে ড্রোন সিরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করছে বলে জানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে অবজারভেটরি জানায়, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হোমস শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাত বেসামরিক নাগরিকসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে বলা হয়, হামলায় শহরের সবচেয়ে অভিজাত জেলাগুলোর একটিতে অবস্থিত একটি ভবন পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে এবং ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করা হয়েছে।

বিচ্ছিন্ন হামলার বিষয়ে সাধারণত ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করে না। তবে দেশটি বারবারই বলে এসেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি বাড়তে দেবে না। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের সরকার এবং লেবাননের শক্তিশালী হামাস মিত্র হিজবুল্লাহকে সমর্থন এ সহযোগিতা দেয় ইরান।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি জানান, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর ৫০ টির বেশি এবং লেবাননে ৩ হাজার ৪০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের