গাজা উপত্যকায় গত তিন দিনে ইসরায়েলি হামলায় নারী, শিশুসহ অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার (৯ মে) থেকে ফিলিস্তিনে কয়েকটি সংগঠনের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। গাজা থেকে ইসরায়েলে পাল্টা রকেট হামলা চালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরাও। এতে বৃহস্পতিবার একজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অধিকাংশ রকেটই প্রতিহত করেছে ইসরায়েল।
গত তিন দিনে গাজায় নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু ও তিন নারীর পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। ফিলিস্তিনে হামাসের পর পিআইজে দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী।
একটি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আক্রমণাত্মক কিংবা রক্ষণাত্মক, উভয় ধরনের হামলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। যেই আমাদের ক্ষতি করতে আসে, তাকেই উচিত শিক্ষা দিই।’
ইসরায়েলের সর্বশেষ বিমান হামলায় পিআইজে নেতা আলি গালি ও আহমেদ আবু দাক্কার মৃত্যুতে সম্প্রতি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পাঁচ জ্যেষ্ঠ নেতা নিহতের খবর পাওয়া গেল। এর আগে জিহাদ আল-ঘান্নাম, খালিল আল-বাহতিনি ও তারিক ইজ আদ-দ্বীন নিহত হন।
এদিকে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চেষ্টার কথা জানিয়েছে মিসর। তবে এখন পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা নিষ্ফল প্রমাণিত হয়েছে। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া বার্লিনে জর্ডান, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।