যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫৮৯ জন। এদিকে, গাজায় ব্যাপক বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনীর হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অপর অংশ পশ্চিম তীরে বিভিন্ন শহরেও অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী তার ঘণ্টাখানেক আগেই হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাসই আগে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট ছুড়েছে।
তারপর থেকেই গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ব্যাপক হামলা চালাতে শুরু করে। সেই হামলায় শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুসারে, নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৫৮৯ জন।
এদিকে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানোর পাশাপাশি পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরেও অভিযান চালানো শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। পশ্চিম তীর থেকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদকের পাঠানো এক ভিডিও থেকে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী পশ্চিম তীরের ইয়াত্তা ও হেবরনের দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে। আল জাজিরার সনদ ইউনিটের নিজস্ব ভেরিফায়েড চ্যানেলে ভিডিওগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
অপর এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সালফিতের বিদইয়া এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করছে। প্রায় একই নাবলুসের দক্ষিণে অবস্থিত বেইতা শহরেও ব্যাপক অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই অভিযানগুলোর অধিকাংশই পরিচালনা করা হয় রাতের বেলায়। এ সময় ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়।