হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

মার্কিন সহায়তা নিলেও ইরানি পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস ইসরায়েলের জন্য কঠিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ইরানের নাতানজ পরমাণু কেন্দ্র। ছবিটি ২০২১ সালে তোলা। ছবি: প্ল্যানেট ল্যাবস

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুগুলো মধ্যে ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাও ছিল। কিন্তু সেসব হামলা খুব সামান্যই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি করতে পেরেছে। আর এই ব্যর্থতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের সম্ভাব্যতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে। ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (রুসি) মার্চ মাসের এক প্রতিবেদন বলছে, এটা সহজ হবে না।

রুসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের জন্য উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন হবে। এমনকি এই যৌথ উদ্যোগের পক্ষেও ইরানের মূল পারমাণবিক জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করা কঠিন হতে পারে, কারণ সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে মাটির অনেক গভীরে তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, এই চ্যালেঞ্জগুলো এবং এমন আগ্রাসী হামলার মাধ্যমে সংঘাত বৃদ্ধির ঝুঁকি বিবেচনা করে এটি ‘শেষ অবলম্বন’ হিসেবে থাকা উচিত। ইসরায়েলের হামলায় নাতাঞ্জের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, তবে ইসরায়েলি অস্ত্রশস্ত্র মাটির নিচে থাকা স্থাপনাটিতে কতটা পৌঁছাতে পেরেছে তা অজানা।

নাতাঞ্জের ভূগর্ভস্থ সমৃদ্ধকরণ সরঞ্জামের সঠিক গভীরতা জানা যায়নি, তবে কিছু অনুমান অনুযায়ী এটি ৮ মিটার (২৬ ফুট) গভীরে অবস্থিত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের বোমাগুলো মাটির গঠন এবং কতটা শক্ত কংক্রিট নিচে আছে তার ওপর নির্ভর করে প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত ভেদ করতে পারে।

ইরানের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র—ফোরদো প্ল্যান্ট—আরও গভীরে বলে ধারণা করা হয়। এর গভীরতাও অজানা, তবে অনুমান অনুযায়ী ফোরদোর স্থাপনাগুলো ৮০ থেকে ৯০ মিটার (২৬২ থেকে ২৯৫ ফুট) গভীরে অবস্থিত। প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বোমাও এত গভীরে পৌঁছাতে পারবে না। এই বোমার অনুপ্রবেশের সক্ষমতা মাত্র ৬০ মিটার।

তা ছাড়া, জিবিইউ-৫৭ শুধুমাত্র মার্কিন বিমানবাহিনীর বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান দিয়েই নিক্ষেপ করা যায়, যা ইসরায়েলের নেই। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বোমা দিলে এই যুদ্ধবিমানও দিতে হবে। কিন্তু তারপরও আশঙ্কা থেকে যাবে যে, হামলা কার্যকর হবে কি না।

প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে বড় বোমার হামলার পরও ইরান তার স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করার অন্যান্য উপায় রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা যেখানে লম্বা সরু টানেল দিয়ে সংযুক্ত কক্ষ, একাধিক পুরু বিস্ফোরণরোধী দরজা এবং একাধিক বাহ্যিক প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ রয়েছে। ফলে এ ধরনের স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস নিশ্চিত করা কঠিন হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের