হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

বাইডেনের গাজা পরিকল্পনায় রাজি ইসরায়েল, কী আছে এতে 

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে যুদ্ধবিরতিসহ অন্যান্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এই প্রস্তাব ‘খুব একটা ভালো না’ হলেও তাতে রাজি হয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর সহযোগী ওফির ফালাক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুর প্রধান বৈদেশিক নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ওফির ফালাক জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে গাজার যুদ্ধ শেষ করতে জো বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা গ্রহণ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব ত্রুটিযুক্ত এবং এটি নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। 

ওফির ফালাক বলেছেন, ‘বাইডেন প্রস্তাবিত একটি পরিকল্পনার চুক্তিতে আমরা রাজি হয়েছি—যদিও এটি ভালো চুক্তি নয়, তবে আমরা জিম্মিদের মুক্তি চাই, তাদের সবাইকে মুক্ত করতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে আরও বিস্তারিত কাজ করার সুযোগ আছে।’ এ সময় তিনি চুক্তি বাস্তবায়নে শর্ত হিসেবে সব জিম্মির মুক্তি এবং ‘গণহত্যা চালানো সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে হামাসের ধ্বংস দাবি করেন।

কী আছে বাইডেনের পরিকল্পনায়
 
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই দেশটির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চকিত ছিলেন সব সময়। সর্বশেষ গত শুক্রবার তিনি তিন ধাপের একটি পরিকল্পনার কথা জানান। যা তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাঠিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। 

বাইডেনের পরিকল্পনা অনুসারে, প্রথম ধাপে একটি যুদ্ধবিরতি হবে এবং এ সময় হামাসের হাতে থাকা কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যুদ্ধ শেষ করতে ইসরায়েল-হামাস উভয় পক্ষ একটি উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবে এবং দ্বিতীয় ধাপে বাদবাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস। 

বাইডেনের পরিকল্পনা অনুসারে, হামাস গাজায় এটির কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে হামাসকে সহযোগিতা করবে মিসর এবং কাতার। তবে ইসরায়েলের দাবির—হামাকে নির্মূল করা—সঙ্গে এই বিষয়টি সাংঘর্ষিক। এর আগেও, বাইডেন প্রায় একই ধরনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা হালে পানি পায়নি। 

ইসরায়েল এর আগে বারবার জানিয়েছে, দেশটি কেবল তখনই যুদ্ধবিরতি মানবে যখন জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং এরপর তারা আবারও হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে অভিযান শুরু করবে। এদিকে, হামাসও তাদের দাবি থেকে এক চুলও সরে আসেনি। গোষ্ঠীটির দাবি, তারা তখনই সব জিম্মিদের মুক্তি দেবে যখন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। 

গত শুক্রবার বাইডেন তাঁর এক ভাষণে জানান, তাঁর সর্বশেষ প্রস্তাব হামাসকে ক্ষমতায় না রেখেও গাজায় আরও ভালো ‘সময়’ আনার পথ তৈরি করে। তবে এটি কীভাবে অর্জিত হবে সে বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে ওফির ফালাক বলেছেন, ‘আমাদের সব উদ্দেশ্য (হামাস নির্মূল হওয়া) পূরণ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।’ 

এদিকে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর জোট সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে গিয়ে ব্যাপক চাপে পড়েছেন। তাঁর সরকারের দুই উগ্র ডানপন্থী অংশীদার জানিয়েছেন—হামাসকে ছাড় দেওয়া হলে তাঁরা সরকার থেকে সরে দাঁড়াবেন। তবে তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সাবেক জেনারেল এবং মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ বেনি গান্তেজ বাইডেনের পরিকল্পনাটি বিবেচনা করতে চান। 

হামাস সাময়িকভাবে বাইডেনের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ওসামা হামদান গতকাল শনিবার আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘বাইডেনের বক্তব্যে ইতিবাচক ধারণা অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে আমরা এটিকে বিস্তৃত চুক্তি কাঠামোর মাধ্যমে বাস্তবায়িত করতে চাই, যা আমাদের দাবি পূরণ করবে।’ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়াও হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, ফিলিস্তিনিদের অবাধ চলাচল এবং গাজা পুনর্গঠনে সহায়তা চায়।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন