গাজা উপত্যকার ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সাময়িক যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিনে ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে দেশটির ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তা থেকে ফিলিস্তিনিদের লাশ উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে।
সংবাদমাধ্যম আনাদলুর প্রতিবেদন অনুসারে, বিবৃতিতে বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর আদিম পদ্ধতিতে মৃতদেহ খুঁজে বের করার কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, ‘আমরা একটি বাস্তব মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যুদ্ধে মানবিক বিরতির শুরু থেকেই এর ভয়াবহ রূপ সামনে আসা শুরু করেছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় ৩ লাখ ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ভবন পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে এবং অন্য আড়াই লাখ ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে।’
এ ছাড়া আরও বলা হয়, উত্তর গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ এখনো তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। দখলদার বাহিনী তাদের বাধা দিচ্ছে এবং তাদের লক্ষ্য করে গোলাবারুদ ছুড়ছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শত শত লাশ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম কার্যালয়।
কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এতে দখলদার বাহিনীর ধ্বংস করা হাজার হাজার বাড়ি-ঘর, স্কুল ও হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপ উত্তোলনে সহায়তা হবে।
গত সোমবার কাতার চার দিনের সাময়িক মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এই চুক্তির অধীনে আরও অনেক জিম্মি ও বন্দিবিনিময় হবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েল। এতে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বলে দাবি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জন শিশু ও ৪ হাজার হাজার নারী।
ইসরায়েলি সরকারি তথ্য মোতাবেক ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা মোট ১ হাজার ২০০।