ইরানের আধাসামরিক বাহিনী বাসিজের এক সদস্যকে হত্যার অভিযোগে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। ভার্চুয়ালি সম্প্রচারিত এক বিচারে এই রায় দেওয়া হয়। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে এই রায়ের ফলে মৃত্যুদণ্ডের মোট সংখ্যা ১১ তে পৌঁছেছে।
তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র মাসুদ সেতায়েশি বলেন, ‘রুহুল্লাহ আজমিয়ান হত্যার ঘটনায় ১৬ জন অভিযুক্তকে তলব করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রাথমিক রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তিনজনসহ আরও ১১ জনকে দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ মাসুদ সেতায়েশি জানিয়েছেন, এই রায় চূড়ান্ত নয় এবং দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
আনাদলুর প্রতিবেদন অনুসারে, ২৭ বছর বয়সী রুহুল্লাহ আজমিয়ান ইরানের আধাসামরিক বাহিনী বাসিজির সদস্য ছিলেন। নভেম্বরের শুরুতে দেশটির মধ্য আলবুর্জ প্রদেশের রাজধানী কারাজে একদল বিক্ষোভকারীর হাতে নিহত হন তিনি।
ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’, ‘নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপরাধ’ এবং ‘জনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন সৃষ্টির’ অভিযোগে এই পাঁচজনকে অবশেষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইরানের বিচার বিভাগ দেশটিতে বিক্ষোভের অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযোগে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বেশির ভাগ মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হয়েছে—‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অভিযোগে এবং মোহাবেরেহ বা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অভিযোগে। ইরানে ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।