গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ৪৪ দেশের মানবাধিকারকর্মীদের গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ। নৌবহরটিতে রয়েছে ৪৫টির বেশি জাহাজ।
এর মধ্যে একটি আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর নামে নামকরণ করা হয়েছে।
গ্লোবাল সলিডারিটি ফ্লোটিলার (জিএসএফ) মুখপাত্র সাইফ আবুকেশক আল জাজিরাকে বলেন, ‘মানবিক এই মিশন সরাসরি সাগরে ইসরায়েলি বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি, কিছু জাহাজকে সামরিক বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। কয়েকটির সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে কিছু জাহাজ থেকে এখনো আমাদের কাছে ভিডিও আসছে।’
নৌবহরের জাহাজগুলোকে ইসরায়েলি বাহিনী সতর্কবার্তাও দিয়েছে জানিয়ে সাইফ আরও বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে যে, এভাবে মানবিক সহায়তা দেওয়া বেআইনি। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। ইসরায়েলি সরকারের পুরো নীতিই হলো জনসংখ্যাকে অনাহারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া।’
আয়োজকদের পরিকল্পনা ছিল একাধিক জাহাজের মধ্যে অন্তত কিছু জাহাজ যেন গাজার উপকূলে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা তাদের জানিয়ে দিয়েছে, সব ধরনের ত্রাণ সহায়তা ইসরায়েলের নির্ধারিত চ্যানেলের মাধ্যমেই দিতে হবে।
ইসরায়েল বলছে, এই অবরোধ সামরিক আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছে। তবে নৌবহরে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, গাজায় গণহত্যা চলছে এবং দুর্ভিক্ষ ও অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সব বাধা সত্ত্বেও তারা গাজায় পৌঁছানোর সংকল্পে অটল।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ফিলিস্তিন উপকূলে যাচ্ছিল এমন নৌবহরকে আটকে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।
আরও খবর পড়ুন: