হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সৌদি চিত্রশিল্পী সাফিয়া বিনজাগরের মৃত্যু

সৌদি শিল্পী সাফিয়া বিনজাগর ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। ১৯৪০ সালে জেদ্দার আল বালাদে জন্মগ্রহণকারী বিনজাগর একজন অগ্রগামী শিল্পী ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সাফিয়া বিনজাগর বেড়ে উঠেছিলেন মিসরের কায়রোতে। মিসর ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিনি পড়াশোনা করেছেন। লন্ডনের সেন্ট মার্টিন স্কুল অব আর্ট থেকে ১৯৭৬ সালে তিনি স্নাতক হন। পরবর্তী সময় সৌদি আরবে বসবাস শুরু করেন। তবে অন্য দেশে বেড়ে ওঠার কারণে সৌদি আরবকে তিনি একজন বিদেশির চোখে দেখতেন।

২০১৮ সালে দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিনজাগর বলেছিলেন, ‘মিসরের কায়রোতে বড় হওয়ার কারণে, সৌদি আরবের শুরুর দিনগুলোতে আমাকে অনেক কিছু জানতে হয়েছে। একটি রাজ্য হিসেবে একত্রিত হওয়ার আগে সৌদি আরবের জীবন সম্পর্কে আমার কোনো জানাশোনা ছিল না।’ 

তবে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী জীবনই ছিল সাফিয়া বিনজাগরের আঁকা ছবিগুলোর প্রধান বিষয়বস্তু। সৌদি শিশুদের খেলা, বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান এবং কারুশিল্পের নানা উপাদান তাঁর ছবিগুলোতে দেখা যায়। 

দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনজাগরের ছবিগুলোতে সৌদি আরবের যেসব বিষয় উঠে এসেছিল, সেগুলো মূলত তাঁর সময়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। ফলে সৌদি আরবের নানা ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার আগে সেগুলোকে নথিভুক্ত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন বিনজাগর। তিনি আরব উপদ্বীপের লিখিত ইতিহাসের অভাব সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন ছিলেন। 

বিনজাগর সৌদি আরবের উপজাতিদের বৈচিত্র্য এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের বিভিন্ন রূপের প্রতিও গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন। তিনি এসব পোশাকের নমুনা গবেষণা এবং এগুলোকে সংগ্রহ করার জন্য দেশজুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন আঞ্চলিক পোশাক নিয়ে জলরঙে আঁকা দীর্ঘ-চলমান সিরিজ ছিল। 

জলরং ছাড়াও প্যাস্টেল, কাঠকয়লা, এচিং এবং কাঠের পেইন্টিংয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন বিনজাগর। ১৯৯৫ সালে তিনি ‘দারাত সাফিয়া বিনজাগর’ খোলেন। সেই সময়ে এটিই ছিল সৌদি আরবের প্রথম এবং একমাত্র আর্ট মিউজিয়াম।

ইয়েমেন সংঘাতে মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি ও আরব আমিরাত

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রতিরক্ষা জোট শক্তিশালী করছে গ্রিস ও সাইপ্রাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত