হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

বিক্ষোভের বছরে ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বেড়েছে ৭৫ শতাংশ

২০২২ সালে ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। কমপক্ষে ৫৮২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। অনেকে ক্যাম্পেইনিং গ্রুপ বলছে, বিক্ষোভকারীদের মধ্য ভীতি সৃষ্টি করতেই ইরান মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার বাড়িয়েছে। নরওয়ে ভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এবং ফ্রান্সের টুগেদার এগেইনস্ট দ্য ডেথ পেনাল্টি (ইসিপিএম) বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছে। 

সংস্থা দুটি জানায়, ২০১৫ সালের পর ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এটিই সর্বচ্চো সংখ্যা। তাঁরা ইরানের অফিশিয়াল ঘোষণা এবং বিভিন্ন সূত্রের ওপর নির্ভর করে এ প্রতিবেদন দিয়েছে। 

সংস্থা দুটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা অধিকাংশই ছিলেন হত্যা বা মাদক মামলার আসামি। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দুজন বিক্ষোভকারীকেও ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। তাঁরা হলেন মোহসেন শেকারি (২২) ও মাজিদেরজা রাহনাভারদ (২৩)। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নে ‘খোদাদ্রোহীতা’র অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাঁদের নির্মম নির্যাতনের মুখে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল ও নামমাত্র আদালতে বিচার করা হয়েছিল। 

এ বছরের শুরুতেও দুজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। একই সময় অনেক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুলিশ কাস্টডিতে কুর্দি নারী মাশাহ আমিনির (২২) মৃত্যুর পর এসব বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমেছিলেন। 

আইএইচআর ও ইসিপিএমের বার্ষিক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের মোট মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা ৭১ জন বলে জানিয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। বাকি ৫১১ জন সম্পর্কে জানা গেছে অঘোষিত ও গোপন সূত্রে। এসব সূত্রের মধ্য প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবারের সদস্য, আইনজীবীসহ কারাগারে বা আদালতে কাজ করা বিভিন্ন ব্যক্তিদের থেকে জানা গেছে। 

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ২৮৮ জনই (৪৯ শতাংশ) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এর মধ্য ১৩ জন নারী ও ৩ ব্যক্তি ছিলেন যারা শৈশবে অপরাধ করেছিলেন। গত ১৫ বছরের মধ্য এই সংখ্যা ইরানে সর্বচ্চো। অন্য ২৫৬ জন (৪৪ শতাংশ) মাদক মামলার আসামি ছিলেন। এদের মধ্য তিনজন ছিলেন নারী। যেখানে ২০২১ সালে মাদক মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল ১২৬ জনের। তুলনা করলে এটি এক বছরের ব্যবধানে দশগুন। 

ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ইরানে মাদকবিরোধী মামলা সংস্কারের পর মাদক মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমলেও হঠাৎ করেই ২০২২ সালে এটি বেড়েছে। তাঁরা এর জন্য জাতিংসঘের প্রতিক্রিয়ার ঘাটতিকেও দায়ী করেছেন। 

রিপোর্টে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার বৃদ্ধির সঙ্গে ইরানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ‘সূক্ষ্ম সম্পর্ক’ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিশেষ করে মে মাসে শিক্ষকদের বিক্ষোভ ও মাশাহ আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ এতে প্রভাব ফেলেছে। 

আইএইচআরের পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম বলেছেন, ‘বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে চাপে ফেলেছে। আরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা এখন তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। 

মাহমুদ আমিরি আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর জন্য খোমেনি সরকার অরাজনৈতিক মামলার আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এরা মূলত ইসলামিক রিপাবলিকের টিকে থাকার জন্য বলির শিকার।

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

জানুয়ারিতেই হতে পারে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

তীব্র শীতে গাজায় প্রাণ সংহারকারীর ভূমিকায় ‘বায়রন’, নিহত অন্তত ১৪

ইরানে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি গ্রেপ্তার

এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ

ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে গাজায় এক দশকের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

সিরিয়ায় এক বছরে ৬০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, দখল করেছে ভূমি