গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ গাজার প্রভাবশালী আবু শাবাব গোত্রের নেতা ইয়াসির আবু শাবাবকে ১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। এই আলটিমেটামে বলা হয়েছে—তিনি যেন নিজ উদ্যোগে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসবিরোধী সশস্ত্র গ্যাংয়ের নেতা ইয়াসির আবু শাবাবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, অবৈধ সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ পরিচালনার অভিযোগে বিচার করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যদি তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করেন, তবে তাকে আইনের চোখে পলাতক হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং অনুপস্থিত অবস্থাতেই তার বিচার চলবে।’
হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘বিপ্লবী আদালত’ নামে একটি বিশেষ আদালতের মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে। এই আদালত গাজাবাসীদের আহ্বান করেছে—যারাই শাবাবের অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানেন, তারা যেন হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীকে তা অবহিত করেন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় অবস্থান করছেন। এই এলাকাটি এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
এর আগে জুন মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজায় হামাসবিরোধী কিছু গোত্রকে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। গাজার কিছু গোত্র স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এবং অতীতে হামাসের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা বা সংঘর্ষ নজির রয়েছে।
স্থানীয় ও ত্রাণকর্মীরা অভিযোগ করেছেন—গাজায় কিছু গোত্র মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক থেকে ত্রাণ লুট করেছে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তবে কয়েকটি গোত্র ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতা অস্বীকার করে লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছে।
আবু শাবাব গোষ্ঠী এক অনলাইন বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইসরায়েল-সমর্থিত নতুন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে সাহায্যের চালান নিরাপদে পৌঁছাতে সহায়তা করছে। তবে, অনেক ফিলিস্তিনি বলছেন, এই গোষ্ঠীও ত্রাণ সহায়তা বহনকারী কিছু বহরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত রয়েছে।