ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় আজ মঙ্গলবার এক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। শহরটিতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির বিশাল পোস্টারের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর চলছে। তারা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পতাকা হাতে নিয়ে নতুন উদ্দীপনায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে উচ্চস্বরে বাজছে সরকারসমর্থিত গানের সুর। এসব গানে ইরান সরকারের শক্তি ও প্রতাপের প্রশংসা করা হচ্ছে।
তবে বিবিসি জানিয়েছে, উৎসবমুখর এসব দৃশ্যের ভেতরেও রাজধানী তেহরানে বিরাজ করছে একধরনের অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ।
বিবিসি পার্সিয়ানকে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্বাস, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসলে একটি ফাঁদ। তিনি বলেন, এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে শুধু খামেনিকে তাঁর লুকিয়ে থাকা জায়গা থেকে বের করে আনার জন্য। এর পেছনে আর কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল আর আমেরিকা কোনো সিদ্ধান্তই নেয় না উদ্দেশ্য ছাড়া। এটার পেছনেও নিশ্চয়ই বিশেষ কারণ রয়েছে।
এর আগে আজ সকালে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এই ঘোষণার পর ইসরায়েল জানায়, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আর ইরান বলেছে, যদি ইসরায়েল হামলা বন্ধ রাখে, তারাও হামলা বন্ধ করবে।
কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় সেই ঘোষণার কার্যকারিতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে এ ধরনের সংঘাতের পরও ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও জোর দিয়ে বলেছেন—ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে চড়ে ন্যাটো সম্মেলনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার ঠিক পরেই ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল ইরানকে আক্রমণ করবে না। সব যুদ্ধবিমান ঘুরে দাঁড়িয়ে ঘরে ফিরবে এবং আকাশে ‘‘বন্ধুত্বসূচক ওয়েভ’ করবে ইরানের দিকে। কেউ আহত হবে না, যুদ্ধবিরতি কার্যকর! এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ! ”