হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

হামাসের ফেরত পাঠানো একটি মরদেহ জিম্মির নয়—দাবি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ছবি: ডেইলি সাবাহ

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ফেরত পাওয়া চারটি মৃতদেহের মধ্যে একটির পরিচয় নিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে—এটি গাজায় আটক কোনো জিম্মির দেহ নয়। বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে অবিশ্বাস ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ওই দেহগুলো ফেরত পাঠিয়েছিল হামাস।

এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪৫টি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ। বুধবার গাজার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসব দেহ শনাক্তের কাজ শুরু করেছেন। ইসরায়েল এই দেহগুলো কোনো পরিচয় ছাড়াই রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছিল। তবে এগুলো কার—ইসরায়েলি কারাগারে মৃত্যুবরণকারীদের, না কি গাজা থেকে অপসারিত দেহ—তা এখনো স্পষ্ট নয়।

একই সময়ে দুই দিন বন্ধ থাকার পর গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ পুনরায় শুরু হয়েছে। মিসরের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বুধবার ৪০০ ট্রাক খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নিহত জিম্মিদের দেহ ফেরত দেওয়ার গতি নিয়ে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে।

গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল আরও কয়েকটি ফিলিস্তিনি মৃতদেহ গাজায় ফিরিয়ে দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদক হাসপাতালের বাইরে তিনটি ট্রাকভর্তি দেহ পৌঁছাতে দেখেছেন।

এ ছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৩৮ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৮। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরায়েল থেকে ফেরত পাওয়া ৪৫টি মৃতদেহ এখনো এই পরিসংখ্যানে যুক্ত করা হয়নি। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।

বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তারা রাফাহ সীমান্তে দীর্ঘদিনের মানবিক মিশন ‘ইইউবিএএম’ এর পুনঃপ্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত। ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ার এল আনুনি বলেন, ‘গাজা শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইইউবিএএম রাফাহ ক্রসিং পয়েন্টে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত আছে।’

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মিশন পুনরায় চালুর মাধ্যমে ইইউ গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার করতে চায়। তবে চলমান যুদ্ধ ও উত্তেজনার কারণে ইসরায়েল-ইইউ সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

গাজা গণহত্যা থেকে মনোযোগ সরাতে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ইসরায়েল: আল–শারা

সিরিয়ায় নতুন বিদ্রোহের প্রস্তুতি—নেপথ্যে আসাদের নির্বাসিত গোয়েন্দাপ্রধান ও চাচাতো ভাই

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর