হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সাঁজোয়া যানে বোমা হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুরা। ছবি: ইপিএ

গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে বোমা হামলায় সাতজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আজ শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। তবে এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা জেইতুন এলাকায় একটি অভিযানে ছিলেন। এই এলাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা দাবি করেছে, হামলার সময় হামাস ইসরায়েলি সেনাদের অপহরণের চেষ্টা চালায়। তবে আইডিএফ এই তথ্য অস্বীকার করেছে।

এদিকে এ ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল গাজা সিটিকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র’ ঘোষণা করে এবং সেখানে চালু থাকা সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি এই অবরোধের কারণে ওই অঞ্চলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গাজা সিটি দখল ও নিয়ন্ত্রণের অনুমোদন দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সমালোচনা সত্ত্বেও সেনারা অভিযানে এগিয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকালে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী জেইতুন ও আল-নাসের এলাকার একটি ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায়। এই হামলাসহ গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক হামলায় ইতিমধ্যে ২৩ হাজারের বেশি বাসিন্দা গাজা সিটি ছেড়ে পালিয়েছে। এ ছাড়া গাজা সিটির প্রায় ২০ লাখ মানুষের অর্ধেকই দুর্ভিক্ষে ভুগছে। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির সভাপতি মিরজানা স্পোলিয়ারিচ সতর্ক করে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে গাজা সিটি থেকে জনগণের গণ-উচ্ছেদ নিরাপদ বা মর্যাদাপূর্ণভাবে সম্ভব নয়।’

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ১০ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন শিশু। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় মোট ৩৩২ জন অনাহারে প্রাণ হারিয়েছে।

ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধ এবং নতুন সামরিক অভিযান বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। শুক্রবার ছয় ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলকে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে জার্মানি ও হাঙ্গেরি এখনো ইইউর বাণিজ্য চুক্তি স্থগিতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাজা ক্যালাস বলেছেন, ইউরোপ বিভক্ত থাকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া এখনই সম্ভব হচ্ছে না। আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যদি এখনই ইউরোপ কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে কবে নেবে? শিশুরা অনাহারে মরছে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে আগামী মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে অনুমতি দেয়নি। প্রায় ৮০ জন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার ভিসাও বাতিল করেছে ওয়াশিংটন। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় তুলেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উপসভাপতি হুসেইন আল-শেখ এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই সিদ্ধান্তকে ‘অন্যায়’ আখ্যা দিয়ে আব্বাসকে ফোনে সমর্থন জানিয়েছেন।

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে