ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শরণার্থীশিবিরের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। জরুরি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গাজার ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের একটি চারতলা আবাসিক ভবনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। জরুরি নাগরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল (যারা মিসরের সঙ্গে যৌথভাবে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে) বলেছে, তারা প্রয়োজনে চিকিৎসার অনুমতি দেবে।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে প্রচুর পরিমাণে পেট্রল মজুত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পেট্রল থাকার কারণেই সারা ভবনে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভবনে আটকে পড়াদের চিৎকার শুনতে পেলেও ভেতরে যেতে পারেননি, কারণ আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ ছিল।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ‘জাতীয় ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল হুসেইন আল শেখ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলকে গাজাসংলগ্ন ইংরেজ ক্রসিং খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে তাঁরা ছিটমহলের বাইরে গিয়ে আহতদের চিকিৎসা করতে পারেন।
হুসেইন আল শেখ এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জরুরিভাবে সব ধরনের চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জাতিসংঘের শান্তি দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।