হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় তাণ্ডব চলছেই, ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি সমাবেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গাজার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তেল আবিবসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ সমাবেশ।

গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফের বর্বরতায় প্রাণ গেছে আরও ৪০ ফিলিস্তিনির। গতকাল শনিবার উপত্যকাজুড়ে আইডিএফের নির্বিচার হামলায় নিহত হয়েছে তারা। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বারত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।

আজ রোববারও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে আইডিএফ। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্য গাজার দেইর আল বালাহর সাবরা এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে একই পরিবারের ১০ জন। তবে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। নেতানিয়াহু প্রশাসনের নিরাপদ ঘোষিত এলাকা আল-মাওয়াসিতেও থেমে নেই হামলা। আজ রোববারও আইডিএফের ড্রোন হামলায় এলাকাটিতে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

রাফাহতেও চলছে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ। হামলার তীব্রতায় সেখানে হতাহতের ব্যাপারে কোনো নিশ্চিত তথ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, নুসেইরাহ শরণার্থীশিবিরে সবচেয়ে তীব্র হামলা চলছে। এ ছাড়া, উপত্যকায় খাদ্যসংকটও পৌঁছেছে চরমে। দেড় মাস ধরে উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় স্মরণকালের ভয়াবহতম দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিগগিরই কোনো ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

গাজা ইস্যুতে নেতানিয়াহু প্রশাসনের এমন অমানবিক অবস্থানে এবার ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে খোদ ইসরায়েলিরাও।

2আইডিএফের হামলায় নিহত শিশুদের ছবি হাতে বিক্ষোভ করেছেন ইসরায়েলিরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে নবজাতকের প্রতীকী অবয়বও দেখা গেছে।

গাজার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাজধানী তেল আবিবসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তারা।

কারও কারও হাতে ছিল লাল রং দিয়ে রাঙানো ইসরায়েলি পতাকা। গাজায় ইসরায়েল যে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিচ্ছে, তারই প্রতীকী প্রতিবাদ এটি।

দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধ চলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য মধ্যস্থতাকারীদের সমঝোতায় তিন ধাপের একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল ও হামাস। গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয় সেই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ। প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে দ্বিতীয় ধাপ কীভাবে কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গড়িমসিতে সেই আলোচনা শুরু হয় প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর। সমালোচকেরা বলেন, নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য ছিল যেকোনো মূল্যে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে পুনরায় হামলা শুরু করা।

পরিকল্পনামাফিক গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার নৃশংসতা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এই আগ্রাসনে গত এক মাসেই গাজায় নিহত হয়েছে ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণহানি ৫১ হাজারের বেশি।

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রতিরক্ষা জোট শক্তিশালী করছে গ্রিস ও সাইপ্রাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার