হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজার আল-আকসা হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা, প্রায় ৬০০ রোগী-কর্মী নিখোঁজ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে। কিন্তু তার পরও আবাসিক ভবন ও হাসপাতালে হামলা করেই যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-আকসা মারটায়ার্স হাসপাতালে ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। এর ফলে সেখানকার কয়েক শ রোগী ও কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। 

গতকাল সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় আল-আকসা মারটায়ার্স হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন। প্রায় ৬০০ রোগীই হাসপাতাল ছাড়ে। কিন্তু তারা কোথায় আছে, তা জানা যায়নি। 

ডব্লিউএইচও ও জাতিসংঘ আরও বলেছে, উপত্যকাটিতে ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে। এর ফলে প্রতি মুহূর্তে আহত ব্যক্তিরা আল-আকসা হাসপাতালে ভিড় করছে। ৩০ শতাংশের মতো স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন সেখানে। প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর এল-বালাহের এই হাসপাতালেই কেবল চিকিৎসা সেবাদান চলছে। গত রোববার সেটি পরিদর্শন করেন ডব্লিউএইচও ও জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএর কর্মীরা। তাঁরা এ-ও বলেন, ব্যাপক বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতেও লোকজন হাসপাতালটিতে ভিড় করছে। এ প্রসঙ্গে ডব্লিউএইওর কর্মকর্তা সি কাসি বলেন, প্রতি মুহূর্তে হাসপাতালে রোগী আসছে। কিন্তু হামলার ক্ষত নিয়ে জরুরি বিভাগে আসা শত শত মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য সেখানে কেবল পাঁচজন চিকিৎসক রয়েছেন। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আল-আকসা মারটায়ার্স হাসপাতাল আহত ব্যক্তিতে ভরে গেছে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী বলতে গেলে নেই। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫১০ জন আহত হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত নিহত হলো ২৩ হাজার ৮৪ জন ফিলিস্তিনি। 

মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইন (এমএপি) এবং ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি বলেছে, ইসরায়েলের সামরিক তৎপরতা বাড়ার ফলে তাঁদের জরুরি সেবাদানকারী দল কার্যক্রম বন্ধ এবং হাসপাতাল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। 

ডব্লিউএইচও বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো হাসপাতালে আর চিকিৎসাদান চলছে না। ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, আল-আকসা হাসপাতালটির মেঝেতে রক্ত পড়ে আছে। এর মধ্যেই চলছে সব বয়সীদের চিকিৎসাদান। হাসপাতালটির করিডরেও বিশৃঙ্খলা দেখেছেন জাতিসংঘের এই সংস্থার কর্মীরা। 

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, চলমান হামলায় গাজার বেশির ভাগ হাসপাতালই বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো এখনো চলছে, সেগুলোর মধ্যে আল-আকসা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। ফলে গাজাবাসীর জীবন বাঁচাতে এই হাসপাতাল সুরক্ষিত রাখা এবং সেবাদানের উপযোগী রাখা খুব জরুরি।

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

জানুয়ারিতেই হতে পারে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

তীব্র শীতে গাজায় প্রাণ সংহারকারীর ভূমিকায় ‘বায়রন’, নিহত অন্তত ১৪