হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

যুদ্ধ শেষে গাজা শাসনের মার্কিন পরিকল্পনায় আছে হামাসও

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের পর গাজা ‍উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। এই পরিকল্পনায় উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসও রয়েছে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ। 

ব্লুমবার্গকে মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার মূল বক্তব্য হলো, যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) জুনিয়র অংশীদার করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সমন্বয়ে গঠিত হবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র। 

 ‘যদি তারা (হামাস) এই প্রস্তাব গ্রহণ করে চুক্তিতে আসতে রাজি থাকে, কেবল তাহলেই তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আমাদের (পিএলও) অবস্থান থেকে আমরা বলতে পারি, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিভাজন থাকা উচিত নয়।’ ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূল করার পরিকল্পনা আকাশকুসুম বলেও জানান তিনি। 

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলো ১৯৬৪ সালে পিএলও বা পিএ জোট গঠন করে। শুরুর দিকে ইসরায়েলের বিলুপ্তি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে গেলেও ইসরায়েলের সঙ্গে একসময় শান্তিচুক্তিতে যেতে সম্মত হয় সংগঠনটি। 

এতে সংগঠনটির একাংশ দ্বিমত পোষণ করে। ফলে কয়েক বছর পর তারা ১৯৮৭ সালে গঠন করে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। এই গোষ্ঠী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিলুপ্তি ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে।

২০০৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে গাজা উপত্যকা দখল করে হামাস। তারপর থেকে এখনো ক্ষমতাসীন রয়েছে এই গোষ্ঠী। হামাসের শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই থাকেন কাতারে, আর মধ্যম সারির নেতারা বৈরুতে অবস্থান করছেন। 

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থলবাহিনীও। 

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। 

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইয়েমেন সংঘাতে মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি ও আরব আমিরাত

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রতিরক্ষা জোট শক্তিশালী করছে গ্রিস ও সাইপ্রাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত