আবারও ইয়েমেনি ভূখণ্ডে হামলা চালাল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওই হামলায় ডজনেরও বেশি হুতি সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে তারা। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সা’আনায় হুতি স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, হুতি বিদ্রোহীদের কথিত ‘সামরিক সদর দপ্তর’ এবং তাদের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকটি কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান আর এয়ার সাপোর্ট ইউনিট ব্যবহার করা হয়েছে ওই অভিযানে।
তবে, হতাহত নিয়ে ইসরায়েলের দেওয়া তথ্যকে ভুল বলছে হুতিরা। তাদের তথ্যমতে, এ হামলায় দুজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেক—৪৮ জন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার সময় টেলিভিশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন হুতি নেতা আবদেল-মালিক আল-হুতি। বক্তব্যে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের নির্মম আগ্রাসন ও গণহত্যাকে ঢালাওভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে তারা। তাঁর ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান ইসরায়েলকে অপরাধ চালিয়ে যেতে আরও উৎসাহিত করছে।
সানার বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এ হামলায় রাজধানীর দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়রা বলেছেন, হামলায় কয়েকটি আবাসিক ভবনও বিধ্বস্ত হয়েছে।
এর আগেও ইয়েমেনে ইসরায়েলের হামলায় বহু বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে সানা ও উত্তরাঞ্চলীয় আল-জওফ প্রদেশে বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে সাংবাদিক ও শিশুরাও ছিল।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে হুতি বিদ্রোহীরা। নিয়মিত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল ও লোহিত সাগরে। তারা বলছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতেই এ হামলা চালানো হচ্ছে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হলে এ অভিযান থামবে না।